আগামীকালস সকাল থেকে লকডাউন করা হচ্ছে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সব রকম প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। এদিকের ঈদের আগে এমন লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
রাজধানীর রেডজোন এলাকাগুলো পর্যায়ক্রমে লকডাউন করে করোনা সংক্রমণ রোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার ধারাবাহিকতায় এবার লকডাউন করা হচ্ছে পুরান ঢাকার অভিজাত এলাকা ওয়ারীর ৮টি গলি।
এলাকার মধ্যে ১ লাখের লোকের বসবাস। রয়েছে শপিংমল ও মার্কেট। লকডাউন নিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা নিয়ে ক্ষুদ্ধ। তারা বলেন, ‘দোকান বন্ধ থাকলে আমার বেতন থাকবে না। তাহলে আমার পরিবার কীভাবে চলবে?’
আরও পড়ুন : ৪ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন হচ্ছে ওয়ারী : মেয়র তাপস
তাদের একজন বলেন, ‘আমার ওপর আমার পুরো সংসার চলে। আমাকে খাবার দিবে কে?’
আরও কয়েক জনের মুখেও একই কথা। তারা বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ আমাদের কেউ খাবার দিবে? আমরা তো না খেয়ে মরবো।’
লকডাউন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকে বলছেন, কিছু বাড়ি লকডাউন করলেই সুবিধা হতো। তারা বলেন, ‘আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারবো না। অসুবিধা না। যে বাড়িতে রোগী আছে সেটাকে লকডাউন করুন।’
লকডাউন বাস্তবায়নে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ারী থানা পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর। ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ‘ওয়ারী এলাকায় ভদ্র লোকের বাস। আমরা আশাকরি এ কার্যক্রমে সবাই সহায়তা করবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরোয়ার আলম আলো বলেন, ‘যাদের খাবার দরকার আমরা সেগুলো প্রত্যেকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব। ওয়ারী এলাকার জন্য মহানগর হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আমাদের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে।’
ওয়ারীতে প্রবেশে সব পথ বন্ধ রেখে খোলা থাকবে দুটি। খোলা থাকবে ৩টি সুপারশপ। থাকবে ভ্রাম্যমাণ কাঁচা বাজার। করোনা পরীক্ষার জন্য বুথও বসানো হবে।