রাজনীতি ও শিক্ষাঙ্গনে কলুষতার ছায়া

হাসান আজিজুল হক |

একটি দেশ ও সমাজের জন্য রাজনীতি অবশ্যই অপরিহার্য বলে মনে করি। রাজনীতি ভিন্ন সমাজ মজা পুকুরের মতো এবং এ রকম কোনো সমাজে মানুষের মৌলিক কিংবা গণতান্ত্রিক অধিকারের পূর্ণতা লাভ সম্ভব নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- কেমন সেই রাজনীতি? এক কথায় উত্তর দেওয়া যায়- স্বচ্ছ, গঠনমূলক এবং মানুষের জন্য যা কিছু কল্যাণকর, সে-ই সংজ্ঞাসূত্র মোতাবেক রাজনীতি। আমাদের রাজনীতির অর্জন যেমন কম নয়, তেমনি বিসর্জনের খতিয়ানও যথেষ্ট বিস্তৃত। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন ইত্যাদি অনেক কিছুই তো রাজনীতির অর্জন। স্বাধীন বাংলাদেশেও এই রাজনীতির মধ্য দিয়ে আমাদের অর্জনের খতিয়ান কম বিস্তৃত নয়। 

এসবই আশার কথা। কিন্তু এর পাশাপাশি নিরাশার কথাও আছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কারও কারও হীনস্বার্থ চরিতার্থকরণের হাতিয়ার হয়েছে রাজনীতি। অগণতান্ত্রিক শাসকরা এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তের প্রথম কাতারে রয়েছেন। আবার তাদের মাঝেও কেউ কেউ আছেন, যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার দাবিদার। এত কথা বলার সঙ্গত কারণ রয়েছে। সম্প্রতি ফেনীর একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি যে পৈশাচিকতা-বর্বরতা-নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন, এর বর্ণনা দেওয়া ভার। তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা এবং তার যে চক্র, তারা সবাই স্থানীয় কোনো কোনো রাজনীতিকের আশীর্বাদপুষ্ট। এই রাজনীতিকরা কোন দলের অনুসারী- এই প্রশ্নটা তুলছি না। যে বা যারা এমন দুস্কর্মের হোতাদের পৃষ্ঠপোষক, তাদের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিচয় থাকতে পারে না। তারা যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বলে পরিচিত, তাদের দুস্কর্মের বোঝা ওই দল বইবে কি-না, এটা তাদের ব্যাপার। তবে আমি বলব, তাদের একমাত্র পরিচয়- তারা দুর্বৃত্ত এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে তারা সমাজের বিষফোড়া হিসেবে চিহ্নিত। 

ফেনীর ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এমন সিরাজ-উদ-দৌলার সংখ্যা কম নয়। বিষয়টি হলো, কারও কারও প্রকাশ ঘটে নগ্নভাবে, কারওটা ঢাকা রয়েছে মুখোশের আবরণে। শিক্ষাঙ্গনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়টিও নতুন নয়। নিম্ন পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের বহু অভিযোগ ইতিমধ্যে উঠেছে। নিপীড়ক কখনও শিক্ষক, কখনও সহপাঠী কিংবা অন্য কেউ। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা বর্বরতার যে নজির সমাজ ও রাষ্ট্রের সামনে দাঁড় করিয়েছে, এর ক্ষত অনেক গভীর এবং চরম মর্মন্তুদও। গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা এ রকম অভিযোগও জেনেছি যে, ওই অধ্যক্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়মিত অর্থকড়ি দিয়ে তার দুস্কর্মের ছায়া দানকারী হিসেবে এতদিন প্রতিপালন করে এসেছেন (সত্যাসত্য নির্ণীত হবে তদন্তে)। হ্যাঁ, এটা তো অনস্বীকার্যই যে, এ রকম অপরাধ সংঘটনে যে বা যারা মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করেছে, তার বা তাদের ক্ষমতার ছায়া তো প্রয়োজনই। তা না হলে এমন দুস্কর্ম হজম করবে কী করে? নুসরাত জাহান রাফি কীভাবে, কী কারণে এই বর্বরতা-পৈশাচিকতার শিকার হয়ে চিরতরে হারিয়ে গেছে এবং এ কারণে সমাজে যে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, এর প্রায় সবকিছুই গণমাধ্যমের কল্যাণে ইতিমধ্যে পাঠকরা অবগত। ক্রমেই রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে এবং আরও অনেক অজানা তথ্য হয়তো আমাদের সামনে আসবে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। এ ব্যাপারে অনেকেই ইতিমধ্যে অনেক কথা বলেছেন; আমিও বলেছি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত কোনো পরিবর্তন আনতে পারছেন না সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীলরা। 

নুসরাত জাহান রাফির চিরবিদায় আমাদের মনে যে গভীর দাগ কেটে দিয়েছে, তা সহজে মুছবে না; তা সম্ভবও নয়। বরং এমন পৈশাচিক ঘটনা আমাদের সামনে অনেক প্রশ্ন দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে বলা হয় 'সেকেন্ড হোম'। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ কতটা নিরাপদ- এই প্রশ্নের উত্তরটা প্রীতিকর নয়। শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ যদি আনন্দদায়ক এবং নিরাপদ না হয়, তাহলে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর জন্য তা অমঙ্গলই ডেকে আনে। এমন নজিরও আমাদের সামনেই আছে। গত ৪৮ বছরে আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গনে (বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে) রাজনৈতিক হানাহানিতে কম প্রাণহানি ঘটেনি। শিক্ষার্থীর রক্তে শিক্ষাঙ্গনের মাটি বহুবার ভিজেছে। হল দখল, ক্যাম্পাস দখল ইত্যাদি নেতিবাচক চিত্র আমরা দেখেছি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে। খুনোখুনি, রক্তারক্তি ছাত্র রাজনীতির নামে যা হয়েছে তা তো রাজনীতি নয়; এ হলো ছাত্র রাজনীতির নামে দুস্কর্ম। হীনস্বার্থ চরিতার্থকরণের এই যে মহড়া আমাদের দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে, এ হলো ব্যাধিগ্রস্ত সমাজের অন্ধকার অধ্যায়। অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করছে, এই ভূখণ্ডের ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই অর্জিত হয়েছে। 

কখন গতিহারা হলো এই ছাত্র রাজনীতি? অগণতান্ত্রিক শাসকরা শাসনদণ্ড হাতে নিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে অনেক রকম পথ খুঁজেছেন এবং তাদের এই খোঁজা কিংবা অনুসন্ধান বহু রকম বৈরী পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এভাবেই আমাদের রাজনীতি লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে, নানা রকম অপশক্তির জন্ম দিয়েছে এবং সমাজে এই অপশক্তির অপচ্ছায়া ব্যাধির বিস্তার ঘটিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনও এর বাইরে থাকেনি। জীবনের নিরাপত্তাহীনতা আমাদের সমাজের স্তরে স্তরে রয়েছে। এর মাশুল গুনতে হয়েছে কিংবা হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কিছুদিন আগে পরপর একই রকম দুটি ঘটনা ঘটল। দু'জন নারী ভোটকেন্দ্রিক রাজনীতির ছোবলাক্রান্ত হলেন। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনোত্তরও এমন ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে রাজনীতির ছত্রছায়ায় যেসব দুর্বৃত্ত রয়েছে তারাই। শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগজনক চিত্র সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে অগণতান্ত্রিক সরকারের শাসনামলে। কত সম্ভাবনাময় জীবনপ্রদীপ নিভে গেছে আমাদের শিক্ষাঙ্গনে বৈরিতা, হিংস্রতার ছোবলে; এর হিসাব মেলানো ভার! যদি জিজ্ঞেস করা হয়- মানব সভ্যতা কেমন আছে? মানুষ আছে কেমন? মানুষের অধিকারের ভূমি কতটা সমতল? বিদ্যমান পরিবেশ-পরিস্থিতি সুস্থভাবে জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে কতটা অনুকূল? এসব প্রশ্নের উত্তরটা নিরুদ্বিগ্ন থাকার মতো পাওয়া যাবে না অনেক ক্ষেত্রেই। ভয়াবহ রকমের অবক্ষয় সমাজকে যেন গ্রাস করতে চাইছে।

পত্রিকার খবরে জানলাম, নুসরাত জাহান রাফিকে দুর্নীতি-দুস্কর্মের সিন্ডিকেটের শিরোমণি সিরাজ-উদ-দৌলার নির্দেশেই (সে কারাবন্দি আছে বটে, কিন্তু তার পেটোয়া বাহিনী তো মুক্ত) বর্বরতার বলি হতে হয়। শেষ পর্যন্ত নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই মর্মন্তুদ, ব্যাখ্যাতীত ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির জীবন নিয়ে বিপদাশঙ্কা তো আগেই দেখা দিয়েছিল। অধ্যক্ষ কর্তৃক যৌন নিপীড়নের শিকার নুসরাত জাহান রাফি প্রতিকার চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন। থানা-পুলিশ তার পাশে দাঁড়ায়নি। থানার তখনকার বড় কর্তা অর্থাৎ ওসি সাহেব ওই অধ্যক্ষকে রক্ষার কসরত করেছেন; রাফিকে উল্টো ফাঁসাতে চেয়েছেন। এমনকি অগ্নিদগ্ধ নুসরাত যখন ক্রমেই এগোচ্ছিল জীবন নিয়ে বিপদাশঙ্কার পথে, তখনও ওই ওসির ভূমিকা ছিল ঘৃণ্য। 

নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যু শুধু তার স্বজন ও সহপাঠীদেরই কাঁদাচ্ছে না; গোটা বাংলাদেশকেই কাঁদাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে যেসব খবর এসেছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের যেসব বিবরণ জানা গেছে, তাতে স্পষ্টতই ধারণা করা যায়, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা। আজ আমাদের কোনো আর্তনাদই নুসরাতকে আর ফিরিয়ে আনতে পারবে না। কিন্তু হত্যার দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তযোগ্য দণ্ড নিশ্চিত হলে সমাজের অন্য অপরাধীদের কাছে এই বার্তাটা পৌঁছাবে- দুস্কর্ম করে পার পাওয়ার পথ রুদ্ধ। নুসরাতের স্বজনরাও এই সান্ত্বনাটুকু পাবেন- কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। একমাত্র এই পন্থায়ই অবসান ঘটাতে পারে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির। এভাবেই আইনের শাসনের পথটি সুগম করা যেতে পারে। যারা নুসরাতের হত্যাকারী, তার ওপর অত্যাচারের প্ররোচনাকারী এবং মূল হোতা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বাঁচাতে যারা মিটিং-মিছিল করেছে, তারাও অপরাধী হিসেবে মনে হয় গণ্য হতে পারে। একই সঙ্গে মূল্যবোধের যে সংকট, অবক্ষয়ের যে ছায়ায় ঢেকে যাচ্ছে সমাজ; আমলে রাখতে হবে এই বিষয়টিও। এমন পটভূমিতে চাই গণজাগরণ। তা না হলে রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষাঙ্গনে কলুষতার যে ছায়া পড়েছে, তা কাটবে না। 

লেখাটা শুরু করেছিলাম রাজনৈতিক অঙ্গন, শিক্ষাঙ্গন ও সমাজে নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে। শিক্ষাঙ্গনে, সমাজে যৌন হয়রানির ব্যাপারে আমাদের অনেকের মাঝে বিশেষ করে দায়িত্বশীলদের মাঝে যে নিস্পৃহতা, গাফিলতি লক্ষ্য করা যায়, এর ফলেই সিরাজ-উদ-দৌলার মতো শিক্ষক নামের এমন কলঙ্কিতরা যৌন নিপীড়ক হিসেবে দাঁড়াচ্ছে। যখন নুসরাতের ঘটনায় সমাজের শুভবোধসম্পন্ন মানুষরা শোকে হতবিহ্বল, তখন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পুনর্বার ক্যাম্পাস উত্তাল। অতীত থেকে এমন যৌন হয়রানির দৃষ্টান্ত আরও অনেক দেওয়া যাবে। এই নিপীড়কদের সৃষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ লড়ছেন রাজপথে বিচারের দাবিতে আর কেউ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে করতে হেরে যাচ্ছে। প্রশ্ন রাখি- কেন এখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত? কেন এবং কোন পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজ-উদ-দৌলাদের সংখ্যাচিত্র ক্রমেই স্ম্ফীত হচ্ছে? এই অপরাধীরা কী করে রাজনৈতিক নেতাদের ছায়াতলে থাকার অবকাশ পায়? জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত, কেন কিংবা কোন শক্তিবলে তাদের কেউ কেউ অভিযুক্তকে রক্ষা করে আক্রান্তকেই ফাঁসাতে চায়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সন্ধানক্রমে যথাযথ প্রতিকারের মধ্যেই প্রতিবিধান নিহিত। 

প্রভূত উন্নয়নের কথা তো নিশ্চয়ই বলা যায়। সময় পেলেই উন্নয়ন হবে। যেমন করেই হোক আয়-উৎপাদন ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে মানুষের শ্রম ও সৃজনীশক্তির নানাভাবে ব্যবহার হবেই। তাতে পুরনো পৃথিবী পুরনো থাকবে না। আমাদের বেলাতেও তাই হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের সমাজে জননিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত করতে পেরেছি? কতটা দায়বদ্ধ থেকে রাজনীতিকরা সমাজকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নুসরাতের ঘাতকরা রেহাই পাবে না। স্বস্তির কথা। কিন্তু তনু হত্যার বিচার আজও হয়নি। এ রকম দৃষ্টান্ত আরও দেওয়া যাবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকল, এমনটির পটভূমি যেন আর তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। দায়িত্বশীল কারোরই অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি আর কথার কথা হয়ে থাকবে না- আমরা এটুকু নিশ্চয়তা চাই। প্রত্যেকের নিরাপত্তা চাই। কলুষতার ছায়ামুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও সমাজ এবং রাজনীতি চাই। একই সঙ্গে চাই দায়বদ্ধ রাজনীতিক, যারা নীতির চর্চাকেই তাদের কর্তব্যজ্ঞান বলে সবসময় মনে রাখবেন। 

শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক

 

সৌজন্যে: সমকাল


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049500465393066