রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের সচিব করা হয়েছে জুনিয়র কর্মকর্তা ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তিনি একজন সহযোগী অধ্যাপক। এই পদে অধ্যাপক পদায়ন করার দীর্ঘদিনের রেওয়াজ আছে। এই আদেশে আশ্চর্য হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা। যাদের মধ্যে সাবেক মেয়র ও সাংসদরাও রয়েছেন। এছাড়া বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক আদেশে এ অসম পদায়ন/বদলির তথ্য জানা যায়।
আদেশে রাজশাহী বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রামণিককে প্রেষণ প্রত্যাহার করে রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক পদে পদায়ন দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক উর্মিলা খালেদকে এনসিটিবির সম্পাদক (প্রাথমিক) করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সোমবার (১৪ অক্টোবর) এবং মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই সাথে ১৫ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে বাড়ৈ সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে পরিচিত একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে কুমিল্লা বোর্ডে সচিব পদে দেয়া হয়। তারও আগে বাড়ৈ সিন্ডিকেটের এক সদস্যকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সচিব পদে দেয়া হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একটি সংস্থার প্রতিবেদনে এসব জুনিয়র কর্মকর্তাদের পদায়নে অনিয়ম ও অসন্তোষের তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা প্রশসানের বিভিন্ন পদ থেকে জুনিয়রদের সরিয়ে দেয়া হয়। কয়েকমাসের ব্যবধানে ফের চালু হয়েছে সিনিয়রদের পদে জুনিয়র পদায়ন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের সুবিধার্থে বদলির আদেশগুলো তুলে ধরা হল।