ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পলিন ছাত্রীনিবাসে একজন বহিরাগত ঢুকে পড়েন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার (২৫ মে) আবদুল হামিদ (৬০) নামের ওই ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি রাজশাহী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা মিঞাপাড়া এলাকায়। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। দায়িত্বে অবহেলার কারণে নিরাপত্তাকর্মী হাসিবুল হাসানকে বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রীনিবাসের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, সাহ্রি খাওয়ার পর তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। এমন সময় নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে এক লোক ছাত্রীনিবাসের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ঢুকে পড়েন। টের পেয়ে মেয়েরা চিৎকার শুরু করেন। তাঁরা তাদের কক্ষ থেকে বেরিয়ে লোকটিকে কক্ষের ভেতরে আটকে দেন। পরে ব্লকের অন্য মেয়েরা গিয়ে লোকটিকে ধরে ফেলেন। তাঁরা নিচের কলাপসিবল গেটও বন্ধ করে দেন। পরে ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ককে খবর দেওয়া হলে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী বলেন, এ ঘটনার পর মেয়েরা তাঁর কাছে এসেছিলেন। তিনি ছাত্রীনিবাস পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত করেছেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, যে লোকটি ওখানে ঢুকেছিলেন, তিনি আসলে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে তিন দিন ধরে খুঁজছিলেন। তাঁরা মানসিক হাসপাতালে ভর্তির কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলেন। তাঁকে তিনবার সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। কোনো মামলা দেয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাগলের নামে তো কোনো মামলা হয় না। তিনি ইতোমধ্যেই হাজতখানা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছেন।’
থানায় আটক আবদুল হামিদ বলছেন, তাঁর জামা হারিয়ে গেছে, সেই জামা খুঁজতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। ১০০ মেয়ে তাঁকে ঘিরে ধরেছিলেন। মেয়েরা তাঁকে মেরেছেন।