রাজশাহীতে ৭৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১শ মিটারের মধ্যে তামাকপণ্য বিক্রির দোকান আছে। এর ৮২ শতাংশ দোকানে তামাক কোম্পানিগুলোর অবৈধ বিজ্ঞাপন, পুরস্কার ও প্রণোদনার বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরীনা দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতে রাজশাহী নগরীতে তামাক কোম্পানিগুলোর অবৈধ বিজ্ঞাপন-প্রণোদনা কী পরিমাণের রয়েছে তার ওপর এসিডি একটি জরিপ পরিচালানা করে। জরিপে এই তথ্য উঠে আসে। এসিডি তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম শামীম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, বতর্মানে দেশে মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশই তরুণ ও যুবক শ্রেণি। আর এজন্যই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি মেধাবী তরুণ ও যুবক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তামাকের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তাদের অপকৌশলগুলোর অন্যতম হলো তরুণ-যুবক শ্রেণিকে তামাকের প্রতি আকৃষ্ট করা। কেননা, যে একবার ধূমপানে আকৃষ্ট হবে তাকে ধূমপান থেকে বিরত রাখা খুবই কষ্টকর। আর এজন্যই ৪৯ শতাংশ তরুণ-যুবক শ্রেণি তামাক কোম্পানিগুলোর টার্গেট।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, তামাক হলো মাদকের ভয়াবহ নেশায় আকৃষ্ট হওয়ার প্রথম ধাপ। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের দোকানগুলোতে তামাকপণ্য বিক্রি নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই প্রাথমিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের দোকানদারদের নির্দেশ দিয়েছি, তামাকজাতপণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। এই নির্দেশনা না মানলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তামাকপণ্য জব্দের উদ্যোগ নিয়েছি।