রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে ১০ হাজার শিক্ষার্থী নিয়োগ দেয়া হবে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজস্ব আদায়ে আউট সোর্সিংয়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার অনুযায়ী যে রাজস্ব আদায় হয় তা প্রায় অর্ধেক। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এসব জনবল নিয়োগ দেয়া হবে।

বুধবার (২২ মে) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সৌজন্যে ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশ। যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে এটা ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ। এখন যদি আমাদের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা হয়, এক্ষেত্রে আরও ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা।’

‘আমাদের আরও ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা পেতে হবে। আমরা যদি ৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে না পারি তাহলে আমাদের অর্থনীতি যে গতিশীলতা বা গভীরতা পেয়েছে- এটার সঙ্গে রাজস্ব আদায়ের কোনো মিল থাকে না। আমাদের এ কাজটা করতে হবে।’

তিনি বলেন, খুবই দুঃখজনক যে যারা ট্যাক্স দেয়, তারাই দেয়। মাত্র ২১ বা ২২ লাখ ট্যাক্স দেয়। এ ছাড়া যাদের দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে তারাও কোনো ট্যাক্সই দেয় না। সুতরাং আগামী বাজেটে আমরা কোনোভাবেই করের হার বাড়াব না। তবে যারা কর দেয় না তাদের করের আওতায় নিয়ে আসব।

১০ হাজার জনবল নিয়োগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা ট্যাক্স দেয়ার ক্ষমতা রাখে কিন্তু ট্যাক্স দিচ্ছে না তাদের কাছে পৌঁছাব, তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করব। এ জন্য আমরা প্রথম বছর আউট সোর্স হিসেবে ১০ হাজার জনবল বাড়াব। এসব জনবল হবে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, যারা কোনো কাজ পাচ্ছে না তাদের আউট সোর্স হিসেবে এ নিয়োগ দেয়া হবে।

প্রতি উপজেলায় ট্যাক্স অফিস নিয়ে যাওয়া হবে জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী জুলাই মাস থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরু করব। তবে এটা প্রথম থেকেই পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপের বরাত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকা ও বড় বড় শহরে প্রায় ৯ লাখ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রথমে বড় বড় জায়গায় এটা (ট্যাক্স আদায়) বাস্তবায়ন করা হবে। ভ্যাট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই আমরা আয়করের বিষয়টি জনগণের কাছে নিয়ে যাব। তবে জোর করব না। জনগণ যখন ভ্যাট দেবে তখন কর দেয়াতেও অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধে সব আমদানি-রফতানিকৃত পণ্য যথাযথভাবে স্ক্যানিং করা হবে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানিতে যারা ওভার অ্যান্ড আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের জরিমানার পাশাপাশি মামলা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056240558624268