প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সাথে দেখা করবেন প্রধান শিক্ষকদের ১০ম ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নে আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রতিমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যাবেন শিক্ষক নেতারা। প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদিরের সাথে দেখা করেন শিক্ষক নেতারা।
প্রধান শিক্ষকের পদ ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকের পদ ১১তম করার দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান বলেন, রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো জাকির হোসেনের সাথে দেখা করতে সাড়ে ৭টার দিকে উনার বাসভবনে যাবো। সেখানে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরব। পাশাপাশি মন্ত্রী কি বলেন তা শুনব।
তিনি জানান, মূলত কয়েকটি দাবি তারা আলোচনায় তুলে ধরবেন। সেগুলো হলো, শোকজ করা প্রতিটি শিক্ষকের শোকজ প্রত্যাহার, পুলিশি হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি, আগে জানানো সকল দাবি মেনে নেয়া ইত্যাদি।
এর আগে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ২৩ অক্টোবরের মহাসমাবেশে যোগ দেয়ায় প্রাথমিকের ২৭ শতাধিক শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে যশোরের দুই উপজেলায় ১৮শ’ এবং সাতক্ষীরার এক উপজেলায় ৯শ’ শিক্ষক আছেন বলে জানান বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র বদরুল আলম। এছাড়া তাকে ও তার প্রতিষ্ঠান ঢাকার উত্তরার ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং কোতোয়ালি থানার ১৪ জনকে একইভাবে শোকজ করা হয়েছে। সূত্রাপুরের একজনকেও শোকজ করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা আপাতত ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন না। তাদের ১১তম গ্রেডই দেয়া হচ্ছে। আর সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১৩তম গ্রেড। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ উচ্চ পর্যায়ের পদগুলো আপগ্রেড হলে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেয়া হবে।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘আপাতত প্রধান শিক্ষকদের ১১তম আর সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড দেয়া হবে। আমরা নতুন নিয়োগ বিধির সুপারিশ করেছি। ওই নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন হলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারদের পদটি ৯ম গ্রেডে উন্নীত হবে। সেটা হলেই আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের স্কেল আপগ্রেড করে ১০ম গ্রেড করতে পারবো।’