রাতে হাজিরা দেন মাদরাসা সুপার!

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি |

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর সুবিদপুর ইউনিয়নের বাসারা নেছারাবাদ ছিদ্দিকিয়া ছালেহিয়া ডিএস ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মোশাররাফ হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে যোগদানের এক বছরের মাথায় নানা অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসার সদ্য বিদয়ী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক মিয়াজী বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মাদরাসা চলাকালীন উপস্থিত না থাকলেও রাতে এসে হাজিরা প্রদান, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী দিয়ে ক্লাস নেয়া, গাইড বই এনে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিদায়ী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক মিয়াজী বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকেই নিজের মতো করে চলতে শুরু করেন। ইচ্ছেমতো মাদরাসায় আসা যাওয়া, ছুটি না নিয়ে গরহাজির থাকা, উপজেলায় কাজ রয়েছে বলে সেখানে না গিয়ে অন্য কাজে যাওয়া পড়ে। তাকে এসব বিষয়ে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভায় সতর্ক করে রেজুলেশনভুক্ত করা হয়। যাতে তার স্বাক্ষর রয়েছে। সর্বশেষ নভেম্বর মাসের ২ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত তিনি একটানা মাদরাসায় অনুপস্থিত ছিলেন। অথচ অতীতের মতো এবারও তিনি রাতে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে রাখেন।

সুপারের এ আচরণের কারণে মাদরাসার ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষায় ১৯ জনের মধ্যে ৭ জন পাস করেছে। তিনি আরও জানান, মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নুরুউদ্দিনকে দিয়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ক্লাস নেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওলানা মোশাররাফ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ‘কমিটির সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও মাদরাসার শৃঙ্খলা ফেরাতে গিয়ে কর্মরতদের চক্ষুশূল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে। আমি যখনই মাদরাসা থেকে বের হয়েছি মুভমেন্ট রেজিস্ট্রারে কারণ উল্লেখ করে বেরিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে রেজুলেশন হওয়ার কথা সঠিক। কিন্তু মাদরাসার সভাপতি সভার শুরুতেই বাধ্যতামূলকভাবে সবার স্বাক্ষর নিয়ে নেন। পরে অফিস সহকারীকে দিয়ে নিজের মতো করে রেজুলেশন লিখে নেন। অথচ এসব কাজ সুপার ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার করার কথা। এছাড়া যাকে দিয়ে ক্লাস নিয়েছি তিনি ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হলেও আলেম পাস। তার পরও তাকে ইবতেদায়ি শ্রেণিতে দুই-একদিন শিক্ষক না থাকায় ক্লাসটি নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঠিয়েছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045340061187744