রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অস্বচ্ছ ও অবৈধভাবে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে বিভাগের অধ্যাপক আলী আসগরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিভাগের অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের (ভারপ্রাপ্ত) কাছে এসংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে অধ্যাপক আলী আসগর অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখিয়েছেন উল্লেখ করে খাইরুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার নগরীর মতিহার থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষার্থীদের অ্যাগ্রিকেমিস্ট্রি ও বায়োকেমিস্ট্রি-২ মিলিয়ে একত্রে ৫০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হয়। অ্যাগ্রিকেমিস্ট্রি কোর্সটি পড়ান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এবং বায়োকেমিস্ট্রি কোর্সটি অধ্যাপক আলী আসগর ও অধ্যাপক যুগোল কুমার সরকার যৌথভাবে পড়ান।
নিয়মানুযায়ী যাঁরা ব্যবহারিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকবেন মূল নম্বরপত্রে অবশ্যই তাঁদের স্বাক্ষর থাকতে হবে। কিন্তু পরীক্ষার দিন দেখা যায়, অধ্যাপক যুগোল কুমার উপস্থিত থাকলেও ব্যবহারিকের মূল নম্বরপত্রে তাঁর স্বাক্ষর নেই। মূল নম্বরপত্রে শুধু অধ্যাপক আলী আসগর ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষর রয়েছে।
জানতে চাইলে অধ্যাপক যুগোল কুমার বলেন, ‘২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ওই কোর্সের ব্যবহারিক পরীক্ষায় তিনজন শিক্ষার্থী পাস নম্বর থেকে দুই-এক নম্বর কম পায়। ব্যবহারিকে ফেল করলে শিক্ষার্থীদের পুনরায় ওই বর্ষেই থাকতে হয়। তাই অধ্যাপক আলী আসগরকে অনুরোধ করেছিলাম বিশেষ বিবেচনায় পাস করিয়ে দেওয়া যায় কি না।
তিনি শোনেননি। মূল নম্বরপত্র তৈরি করে তার সঙ্গে খসড়া কপি সংযুক্ত করে আমার স্বাক্ষর ছাড়াই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’
তবে অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, ‘অধ্যাপক যুগোল কুমারের হাতে দু-একজন শিক্ষার্থী ফেল করে। তিনি আমাকে সেসব শিক্ষার্থীকে জোর করে পাস করিয়ে দিতে বলেন। আমি দিইনি। তাই তিনি স্বাক্ষরও করেননি।’
গত ৬ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর দেওয়া অভিযোগে খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বিভাগের বিএসসি এজি (অনার্স) পার্ট-২ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি থাকাকালীন ফল তৈরির সময় দেখি অ্যাগ্রিকেমিস্ট্রি-১ ও বায়োকেমিস্ট্রি-২ কোর্স-২১৮-এর পরীক্ষায় তিনজন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। কিন্তু ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্রে সংশ্লিষ্ট কোর্সের আরেক শিক্ষক যুগোল কুমার সরকারের স্বাক্ষর নেই।