রাবির ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম হোসেন মারা গেছেন

রাবি প্রতিনিধি |

বিদগ্ধ পণ্ডিত, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইতিহাসবিদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ বি এম হোসেন মারা গেছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টায় (১১ জুলাই) রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

তার মৃত্যুর তথ্যটি জানিয়েছেন রাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।

তিনি বলেন, ‘এ বি এম স্যারের মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম, জাতি হারালো একজন বিদগ্ধজন। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

উল্লেখ্য, এ অধ্যাপকের পুরো নাম আবুল বাশার মোশারফ হোসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ও ইসলামী শিল্পকলা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তার জন্ম ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় ধামতী গ্রামে।

দেবীদ্বার হাইস্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সাফল্যে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার জন্য তাকে মেধাবৃত্তি দিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়।

সেখানে তিনি ১৯৫৮ ও ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে ইতিহাস ও ইসলামিক আর্কিওলজিতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও পিএইচ.ডি লাভ করে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা আরম্ভ করেন এবং ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ণ প্রফেসর পদে উত্তীর্ণ হন।

পরবর্তী সময়ে তিনি বিভাগীয় প্রধান, চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডীন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন। তিনি ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রফেসর এমিরিটাস হিসাবে সম্মাননা প্রাপ্ত হন। তার নিবিড় গবেষণার বিষয়বস্তু ইসলামী শিল্পকলা হলেও তিনি তার মূলধারার বিষয় মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস থেকে সরে দাঁড়াননি।

তার লিখিত গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ১১টি। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডে তাদের মনোনীত সদস্য নির্বাচিত করেন।

তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির সম্মানিত আজীবন ফেলো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002579927444458