জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তিকারী ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বলে অ্যাখায়িত করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার ও চাকুরিচ্যুত করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। লিখিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এদাবি জানান তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেব যোগদান করেন। নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী ও প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক আওয়ামী লীগের পরিচয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। বছর দুয়েক আগে তিনি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করেন। এতেই বুঝা যায় তিনি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির রাজনীতি করেননি। শুধু মুখে মুখে আওয়ামী রাজনীতির কথা বলে এসেছেন। তাই অতিদ্রুত আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত ও ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রচলিত আইনে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাচ্ছে চবি শাখা ছাত্রলীগ।
এছাড়া সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হয়ে জেল খেটেছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক সাদেক হোসাইন টিপু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলার অন্যতম একজন আসামি। শিক্ষক কখনো ছাত্র হত্যার মামলার আসামি হতে পারে না। তাই আমরা অতিদ্রুত রাষ্ট্রদ্রোহী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করাসহ চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাই।
উল্লেখ্য, আদালতে আবেদন জমা দেওয়ার দুই বছর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।
এর আগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান তানভীর বাদী হয়ে সিএমএম আদালতে মামলার আবেদন জমা দিয়েছিলেন।