রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে অধিদফতরের চুক্তির রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম। রবিবার (১৯ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে স্বাস্থ্য ভবনে মহাপরিচালকের সঙ্গে তার কক্ষে সাক্ষাৎ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কক্ষ থেকে বের হন দুদকের কর্মকর্তারা। সে সময় দুদকের অনুসন্ধান দলের প্রধান বলেন, ‘রিজেন্টের সঙ্গে অধিদফতরের চুক্তির রেকর্ডপত্র আরও তিন দিন আগে চাওয়া হয়েছিল। আজ সেগুলো নিতে এসেছিলাম। কিন্তু পুরো ফাইল তৈরি না হওয়ায় আগামীকাল তারা পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন।’
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানেই (আইইডিসিআর) শুধু করোনার পরীক্ষা হতো। তবে ধীরে ধীরে সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও অনুমতি দেয়া হয়। এখন সব মিলিয়ে ৮০টি ল্যাবরেটরিতে এ পরীক্ষা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ৮০টি ল্যাবে পরীক্ষা করার মান বা তাদের সক্ষমতার বিষয় যাচাই-বাছাই অধিদফতর করেনি। এ কারণেই জেকেজি, রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা করার সুযোগ পেয়েছে, অন্য কয়েকটি ল্যাবের কার্যক্রম স্থগিত করতে সরকার বাধ্য হয়েছে। মানুষ সঠিক রিপোর্ট পায়নি, কিন্তু সেগুলোর সত্যতাও যাচাই করেনি অধিদফতর। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভাষ্য, `সরল বিশ্বাসে’ করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিয়ে এখন তারা বেকায়দায় পড়েছে।