করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দুটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের- র্যাবের অভিযানে এ অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এই সিলগালা করা হয়।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মেডিকেল প্র্যাক্টিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবটরেটরি রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ওই হাসপাতালের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে র্যা বের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আট জন কর্মীকে আটক করে র্যাব। তবে মালিকসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন এখনো পলাতক। এছাড়া মো. মোহাম্মদ সাহেদের মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে অননুমোদিত র্যাপিড টেস্টিং কিট ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘অপকর্মগুলো রিজেন্ট গ্রুপের হেড অফিস থেকে সম্পাদিত হয়ে আসছিল বিধায় আমরা সেটিকে সিলগালা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটি হাসপাতালের রোগীদের ইতোমধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, হাসপাতালটি এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিয়েছে। তারা আইইডিসিআর, আইটিএইচ ও নিপসম থেকে ৪ হাজার ২০০ রোগীর বিনা মূল্যে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে এনেছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা না করেই আরও তিন গুণ লোকের ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরি করেছে।
সরোয়ার আলম আরও বলেন, প্রতি পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩ হাজার ৫০০ করে টাকা নিয়েছে। এর মানে হলো তারা এ পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। যদিও হাসপাতালটির সঙ্গে সরকারের চুক্তি ছিল ভর্তি রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার। সরকার এই ব্যয় বহন করবে।