বগুড়ার ধুনটে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় হাফিজুরকে রক্ষা করতে গেলে তাঁর বড় ভাই মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ফজলুল হক অর্ককে পেটানো হয়। পারিবারিক বিরোধের জেরে তাঁদের সৎভাই ফজর আলী এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্বহরিগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আহত হাফিজুর ও ফজলুল বিশ্বহরিগাছার আজাহার আলীর (মৃত) ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বিশ্বহরিগাছায় নিজ বাড়িতে থাকছেন হাফিজুর। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে ফজরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বিরোধ চলছে। তাই শত্রুতা করে হাফিজুরদের ঘরঘেঁষে চুলা বানিয়েছেন ফজর। ফলে তাঁরা চুলা জ্বালালে হাফিজুরদের ঘরে ধোঁয়া ঢোকে।
গতকাল সকালে ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে থাকলে হাফিজুর ও তাঁর বড় ভাই ফজলুল প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফজর ও তাঁর লোকজন হাফিজুরের কাঁঠালগাছ কেটে ক্ষতি করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায় তাঁরা কুড়াল দিয়ে হাফিজুরকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে গেলে ফজলুলকে পেটানো হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে সত্ভাই ফজর, তাঁর স্ত্রী মেরিনা খাতুন ও মেয়ে সনিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন হাফিজুর। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক।