রেজাউল হোসেন নামে শিক্ষা উপমন্ত্রীর কোনও পিও (পার্সোনাল অফিসার) নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ থেকে আজ সোমবার ১৩ জানুয়ারি দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, রেজাউল হোসেন রেজা নামের এক ব্যক্তি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অসাধু কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই নামে শিক্ষা উপমন্ত্রীর কোনও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নেই। ভুয়া পরিচয় দিয়ে রেজাউল হোসেন রেজা ব্যক্তিগত কার্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ব্যবহার আসছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেজাউলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর- ০১৬৩৬-৮৬২৯০০
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পিও মোতালেবসহ গ্রেপ্তার ৩
শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চলমান অগ্রগতিকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এনং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল সেবা যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তিনি কুচক্রী মহলের প্রতারচণা থেকে সাবধান থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি চট্রগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় রেজাউল হোসেন রেজার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। জিডি নম্বর-৫৯৬।
এর আগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে প্রশ্নফাঁসসহ নানা দুর্নীতির দায়ে শিক্ষামন্ত্রীর (পিও) মো. মোতালেব হোসেন ও অপর কর্মচারী মো. নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। একই সঙ্গে নিখোঁজ থাকা লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনও গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২৮ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার হওয়া নাসিরকে সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার ঢাকা অঞ্চলে পদায়ন করা হয়েছে। এতে শিক্ষা প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।