অভিজাত রেস্তোরাঁর বায়ু নিষ্কাশন যন্ত্রের শব্দ দূষণে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অব্যাহত শব্দ দূষণে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আটটি শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে শিক্ষার্থীদের বাইরের গাছতলায় পাঠদানে বাধ্য হচ্ছে।
বিদ্যালয়টিতে দুই শিফটে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ২৪ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম পাশের আটটি শ্রেণিকক্ষ সংলগ্ন আরেকটি ভবনের ‘মাস্টারশেফ বাংলা’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালু করা হয়েছে। ওই রেস্তোরাঁর অ্যাডজাস্টেড ফ্যানের মাধ্যমে ভেতরের গরম বাতাস বিদ্যালয়ের দিকে বের করে দেয়া হচ্ছে। ফগার মেশিনের মতো ‘অ্যাডজাস্টেড ফ্যানে’র বিকট শব্দ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে।
বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রত্না খাতুন জানায়, শব্দ দূষণের কারণে সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পশ্চিম দিকের শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যথায় মাথা টনটন করে।
মাস্টারশেফ রেস্তোরাঁর মালিক এসএম শিহাব উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে তারা দুটি ‘অ্যাডজাস্টেড ফ্যান’ বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন আর আগের মতো শব্দ নেই। এক সপ্তাহের মধ্যে তারা বাকি ফ্যানগুলো ঠিক করে শব্দ দূষণ বন্ধ করবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক নূর আলম বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী ৭৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হলে দূষণের অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিনি রেস্তোরাঁ মালিককে বলে শব্দ দূষণ বন্ধের ব্যবস্থা করবেন।