বার্মা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে ১৭৯৯ সাথে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর নাগরিকত্বের দালিলিক প্রমান তুলে ধরেন যুক্তরাজ্যের কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এর পিএইচডি গবেষক নাটালিয়া ব্রিনহ্যাম। তিনি প্রথমে মাইয়্যু আলী নামক একজন শরনার্থীর লেখা 'দ্যাটস মি, এ রোহিঙ্গা' শিরোনামে একটি কবিতায় রোহিঙ্গাদের বেদনাক্লিষ্ট ও সংগ্রামী জীবনপ্রবাহ তুলে করেন। শুক্রবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর সেন্টার ফর দ্য স্টাডিজ অব জেনোসাইড এন্ড জাস্টিস এর আয়োজনে তরুন প্রজন্ম ও প্রফেশনালদের প্রশিক্ষনের জন্য 'জেনোসাইড এন্ড জাস্টিস' শিরোনামে মাসব্যাপী সার্টিফিকেট কোর্সের আলোচনায় অংশ নিয়ে নাটালিয়া এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি মিয়ানমারে পরিকল্পিতভাবে এবং ধাপে ধাপে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
নাটালিয়া মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির পিতা জেনারেল অং সান এর বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের অধিকার এর বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উঠে আসার ইতিহাস তুলে ধরেন। সেইসাথে তিনি বলেন এর প্রায় চল্লিশ বছর পরে ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং জেনারেল নি উইন এর বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার সুকৌশলে সংকুচিত করা হয়। এছাড়া তিনি সেন্টার ফর দ্য স্টাডিজ অব জেনোসাইড এন্ড জাস্টিস এর ডিরেক্টর এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক এবং সেন্টার এর তত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে গবেষনারত তরুন গবেষক দলের সাথে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে গঠনমূলক মতবিনিময় সভা করেন। "
নাটালিয়ার স্বামী মং জার্নি এবং মিয়ানমার সরকার তাকে ‘রাষ্ট্রীয় শত্রু’ ঘোষণা করে বহু আগেই দেশত্যাগে বাধ্য করে। নাটালিয়া জন্মসূত্রে ব্রিটিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি দৈনিক শিক্ষা অফিসে আসেন। রোহিঙ্গাদের পড়াশোনা নিয়ে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার আসছে।