বরিশালে র্যাগিং এর কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পরে বিভিন্ন ওষুধ সেবনের পর অসুস্থ্য অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এক ছাত্রীকে। শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বরিশাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) মহিলা হোস্টেলে এই ঘটনা ঘটে।
র্যাগিং এর শিকার আমেনা আইএইচটির ফিজিওথেরাপী বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে কলেজের মহিলা হোস্টেলের আবাসিক ছাত্রী। র্যাগিং এর শিকার ছাত্রী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ফেসবুকে আইএইচটির নানা সমস্যা ও হোস্টেলে জুনিয়রদের উপর নানা নির্যাতনের বিষয়ে পোস্ট দেয়ায় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লাম্মিমের নেতৃত্বে জুঁই, মৌ ও ফাতেমা সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রী রাতে ডায়নিং রুমে নিয়ে যায়। এসময় তাকে দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। অপমানে ও লজ্জায় আমেনা ঘুমের ওষুধ সহ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ একসাথে খেয়ে ফেলায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই বিষয়ে মহিলা হোস্টেলের উপ তত্ত্ববধায়ক সুবোধ রঞ্জন মন্ডল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শুনেছি ওই মেয়েকে নানা কথা বলা হয়েছে। তবে র্যাগিং এর কোনো বিষয় শুনিনি। ওই ছাত্রীকে তার সিনিয়ররা গালমন্দ করায় রুমে রাখা কিছু নাপা ট্যাবলেট খেয়ে ফেলায় অসুস্থ্য হয়ে পরে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রীর বিরুদ্ধে হোস্টেলে বসবাস করা তৃতীয় বর্ষের আবাসিক ছাত্রীরা পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
আইএইচটি সূত্রে জানা গেছে, এই কলেজের দুই হোস্টেলে র্যাগিং এর ঘটনা নিত্যনৈমত্তিক বিষয়। হলের সুপারদের হলে থাকার কথা থাকলেও তারা দুপুর ২টার পরই কলেজ ত্যাগ করেন। এই কারণে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এমনটাই অভিযোগ অনেকের।