তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। আর বৃষ্টি না হওয়ায় এবং বাতাসেও আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী, সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ড অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ সমুহের উপর দিয়ে মৃদু থেকেমাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি কম হচ্ছে। যার কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। তবে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে এবং তাপমাত্রা কমে আসবে।
এদিকে ঘোর শ্রাবণে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা ছিল এ পর্যন্ত বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন। তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুরের রাজারহাটে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (২০ জুলাই) ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার আবহাওয়া অধিপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে,উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘু চাপের সৃষ্টি হয়েছে। মধ্য প্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সাথে একীভূত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং তা উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দম্কা হাওয়া ও বিজলী চমকানো সহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।