বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক বহন করে লাল-সবুজের পতাকা। দেশজুড়ে এখন বিজয়ের উল্লাস। বিজয়ের এই মাসকে স্মরণ করতে এবং মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য সব শ্রেণি পেশার মানুষের হাতে লাল-সবুজের পতাকা পৌঁছে দিতে ডোমারের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে চলেছে কলেজছাত্র রোমান। ফরিদপুর থেকে এসে উত্তরের সর্বশেষ উপজেলা ডোমারের প্রতিটি অলিতে-গলিতে, স্কুল-কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করে সে।
রোমান ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার মো. সাত্তার মুনশির ছেলে ও নারায়নগঞ্জ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসা করে সংসারে সহযোগিতা করে সে। একটি বাঁশের সাথে ছোট-বড় লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে বিক্রি করছে সে। তার কাছ থেকে অনেকেই পতাকা কিনছেন।
রোমান জানান, ৪ ভাইয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। বছরের অন্য সময় ফরিদপুরে বাবাকে সহযোগিতা করেন। বিজয়ের মাস আসলেই পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পরেন। গত ১১ ডিসেম্বর প্রায় দেড় হাজার পতাকা নিয়ে সে ডোমারে আসে। তার সাথে পতাকা নিয়ে আসে আরও দুইজন । তিনজনেই প্রায় ৫ হাজার পতাকা নিয়ে এসেছে বলে জানায় সে।
রোমান আরও জানায়, ফরিদপুরে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পতাকা বিক্রি কম হচ্ছে বলে ডোমারে এসেছে সে। এখানে কয়েকদিন পতাকা বিক্রি করে যা আয় হবে তা সংসারের কাজে লাগাবে। তাছাড়া পতাকা বিক্রি করাটা তার কাছে গৌরবের বলে সে জানায়।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে পতাকা বিক্রি। সেই রাতেই ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। মাইলের পর মাইল হেঁটে রোমান মানুষের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে জাতীয় পতাকা। এ যেন আত্মার টান।
ছোট পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে মাপ অনুযায়ী ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বিজয়ের এই মাসে জুড়ে বাংলার আকাশে উড়বে লাল-সবুজের পতাকা। সেই চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন সাইজের পতাকার পসরা সাজিয়ে পথে পথে ঘুরছেন লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা রোমান।