লিফটে আটকে অসুস্থ ১৫ শিক্ষার্থী

রংপুর প্রতিনিধি |

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে প্রায় ৪০ মিনিট আটকা পড়ে ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় লিফটে উঠতে গিয়ে পা পিছলে শামসুজ্জোহা (৭০) নামের এক রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মে লিফটের দরজায় চাপা পড়ে লালমনিরহাটের এক বৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। লক্কড়-ঝক্কড় এসব লিফটে প্রাণহানি ছাড়াও প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

শিক্ষার্থী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে মেডিকেল কলেজের ১৫ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালের নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় যাওয়ার জন্য লিফটে ওঠেন। তৃতীয় তলায় গিয়ে লিফট থেমে যায়। এরপর আবার দোতলায় এসে লিফটটি আটকে যায়। এভাবে প্রায় ৪০ মিনিট লিফটে ১৫ জন শিক্ষার্থী বন্দি হয়ে থাকেন। এ সময় আতঙ্ক আর সঠিকভাবে বাতাস চলাচল না থাকায় তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লিফটে আটকে পড়া অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসন তাঁদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে চেষ্টা করে লিফটের দরজা খুলে মই দিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক  চিকিৎসা দেওয়া হলে তাঁরা সুস্থ হন।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকালে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী স্বাগতম সরকার, জাহেদুল হোসেন পলাশ, আফরোজ আখি, মোহনা প্রমুখ।

পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগতম সরকার বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা এর আগেও একাধিকবার হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে মানববন্ধন করেছি এবং স্মারকলিপি দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে আমরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করব।’

হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এলেই আসল ঘটনা জানা যাবে। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করি, দ্রুত এর কারণ উদ্ঘাটন হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা - dainik shiksha রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ - dainik shiksha ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ - dainik shiksha উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ - dainik shiksha আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030398368835449