শত কষ্টের মাঝেও পড়াশোনা করে রসুলপুর আবদাল হোসেন বসুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া ফারহানা এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে। বাড়ি থেকে চার কিলোমিটার দূরের স্কুলে হেঁটে চলাচল করে আর কুপির আলোয় পড়ে সাফল্য এনেছে দরিদ্র ঘরের মেয়ে সাদিয়া। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও অষ্টম শ্রেণিতে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পায় সে।
সাদিয়া লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও রহিমা বেগমের মেয়ে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সাদিয়া দ্বিতীয়। দিনমজুর বাবার টাকায় চলে সংসার। অষ্টম শ্রেণি থেকে টিউশনি করে লেখাপড়া চালাতে হয়েছে সাদিয়াকে।
বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন তার। কিন্তু বাধা অর্থাভাব। সাদিয়া বলে, ‘আমার কষ্ট বিফলে যায়নি। টিউশনির টাকায় কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই সাফল্য আনতে পেরেছি। ডাক্তার হতে চাই। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
বাবা শহিদুল ইসলাম ও মা রহিমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে এ প্লাস পাইছে, কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাব কীভাবে? কেউ যদি আমার মেয়েকে সাহায্য করেন, তাহলে হয়ত মেয়েকে পড়াতে পারব।’
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নুর ইসলাম ভুট্টু বলেন, সাদিয়া দারিদ্র্যতাকে জয় করে ছোটবেলা থেকে ভালো ফলাফল করে আসছে। আর্থিকভাবে তাকে সহযোগিতা করা হলে সে অনেক দূর যেতে পারবে।
রসুলপুর আবদাল হোসেন বসুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দুলাল হোসেন জানান, সাদিয়া মেধাবী ছাত্রী। তার পরিবার খুবই গরিব। দানশীল ব্যক্তিরা তার শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করলে সাদিয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।