শতফুল ফুটতে দাও : প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টানোর অপসংস্কৃতি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ভারতের বিখ্যাত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) নাম পরিবর্তন করে মোদি নরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি (এমএনইউ) করার প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এমপি ও শিল্পী হানস রাজ হানস। গত ১৭ আগস্ট শনিবার দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ’ আয়োজিত একটি গানের অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। টাইম্স অব ইন্ডিয়ার সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৫ আগস্ট) যুগান্তরে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধনটি লিখেছেন  ড. মাহবুব উল্লাহ্। 

এ সময় জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে নেহেরু-গান্ধী পরিবারকে বিদ্ধ করে তিনি বলেন, আমাদের অগ্রজরা অনেক বড় ভুল করে গেছেন। আমার প্রার্থনা, সব জায়গায় শান্তি বিরাজ করুক ও বোমাবাজি বন্ধ হোক। তিনি আরও বলেন, জেএনইউ সম্পর্কে আগে অনেক কথা শুনেছি। এই প্রথম এসেছি। তবে এখন অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। এর সবই মোদি সরকারের সৌজন্যে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে মোদি নরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত।

হানসের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বিজেপি এমপি মনোজ তিওয়ারী বলেন, আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লোগান উঠত ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’। তবে এখন দিন বদলেছে। এখন ‘বন্দে মাতরম’ বা ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান শোনা যায়। মনোজ তিওয়ারী আরও বলেন, পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর নিয়েও ভারত শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

ব্যক্তিগতভাবে আলোচ্য সংবাদটি আমার দৃষ্টি কেড়েছে। কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আমি অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছি। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আমার বরাবরই একাডেমিক আকর্ষণ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর পিএইচডি করা নিয়ে বেশ ভেবেছি। আমি চেয়েছিলাম এমন একটি পিএইচডি থিসিস লিখব যেটি বাংলাদেশের অর্থনীতির কোনো একটি দিককে ফুটিয়ে তুলবে এবং দেশের জন্যও হবে প্রাসঙ্গিক।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাচ্যের না পাশ্চাত্যের তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিল না। আমি চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়টি অবশ্যই বিশ্বমর্যাদাসম্পন্ন হবে। আবার এমন একজন গবেষণা নির্দেশকের তত্ত্বাবধানে কাজ করব, যিনি আমাদের মতো দেশের সমস্যাগুলোর শেকড় কোথায় রয়েছে সে ব্যাপারে সচেতন হবেন। অনেক চিন্তাভাবনার পর আমি স্থির করলাম আমার গবেষণা নির্দেশক হিসেবে প্রফেসর কৃষ্ণা ভরদ্বাজকে পেতেই হবে।

উল্লেখ্য, প্রফেসর কৃষ্ণা ভরদ্বাজ আজ আর বেঁচে নেই। ১৯৯২ সালে দুরারোগ্য মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বলা হয়ে থাকে, তিনি তার সমসাময়িক অর্থনীতিবিদদের বৈশ্বিক তালিকায় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে ছিলেন। সাম্প্রতিককালে Economic thought-এর ওপর যেসব গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাতে কৃষ্ণা ভরদ্বাজের নাম বেশ গুরুত্বের সঙ্গে উল্লিখিত হয়েছে এবং তার চিন্তাভাবনা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। কৃষ্ণা ভরদ্বাজ ছিলেন ধ্রুপদি রাজনৈতিক অর্থনীতির ওপর একজন প্রথিতযশা চিন্তাবিদ।

তিনি অ্যাডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো, জন স্টুয়ার্ড মিল এবং কার্ল মার্কসের মতো ধ্রুপদি অর্থনীতিবিদদের রচনাবলী গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন এবং সেগুলো থেকে শুধু নির্যাসই সংগ্রহ করেননি, এ নির্যাসকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য ব্যবহার করেছেন। প্রফেসর ভরদ্বাজ নিজেও ছিলেন একজন উঁচু মাপের চিন্তাবিদ।

তিনি বারবার ধ্রুপদি অর্থনীতিবিদদের রচনাবলী অধ্যয়ন করে সেগুলোর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন। আমি যখন আমার পিএইচডি থিসিস জমা দিলাম সেই সময় প্রফেসর ভরদ্বাজকে খুবই উৎফুল্ল ও আনন্দিত হতে দেখেছি। অথচ মৃত্যু তখন তার দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে। তিনি জানতেন না তার কী হয়েছে। চিকিৎসকরা সঙ্গত কারণেই তার অসুস্থতার প্রকৃতি জানান দিয়ে তাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে দেননি। অবশ্য রোগের এক পর্যায়ে তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন তার স্বাস্থ্যের অবনতি কতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমার পিএইচডি থিসিসটি পরীক্ষকরা গ্রন্থ আকারে প্রকাশের সুপারিশ করেছিলেন। এটি ঢাকার ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে Land Livelihood and Change in Rural Bangladesh নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশের পণ্ডিতরা এ গবেষণার তাৎপর্যকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ করে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাপর গবেষকরাও আমার গবেষণাকে ভিত্তি করে আরও অনুসন্ধান চালিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে এটি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। কথায় বলে ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না’। আমার অবস্থাও তাই হয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে হোক কিংবা পরশ্রীকাতরতার জন্য হোক, আমার বেশ কিছু একাডেমিক অবদান দেশে গুরুত্ব না পেলেও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

আমি যখন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইকোনমিক স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ে গবেষণা করছিলাম, তখন এই সেন্টারে একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল পণ্ডিত ব্যক্তি অধ্যাপনা করছিলেন। তাদের মধ্যে কৃষ্ণা ভরদ্বাজ, প্রভাত পাটনায়েক, উৎসা পাটনায়েক, সিপি চন্দ্রশেখর, অঞ্জন মুখার্জি, অভিজিত সেন, জয়তি ঘোষ, সতিশ জৈন এবং অমল সান্যালসহ আরও বেশ কিছু নামকরা অধ্যাপক ছিলেন যারা বিশ্বের যে কোনো প্রাগ্রসর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মান ও গুণসম্পন্ন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, সেমিনার উপস্থাপনা, মধ্যাহ্নভোজ-পরবর্তী নিবিড় আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনায় এদের ছিল ঈর্ষণীয় ঔজ্জ্বল্য।

জেএনইউ একটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনা হয়। এখানকার ছাত্রছাত্রীরা সমগ্র ভারত থেকে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিদেশি ছাত্রও অধ্যয়নের জন্য আসে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বেশিরভাগ সময় জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক করতে এবং আলোচনার মাধ্যমে উপলব্ধির জগতে পৌঁছাতে ব্যস্ত থাকে। এসব হতে পারে ছাত্রাবাসের কক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেণিকক্ষে অথবা ক্যান্টিনের চা-কফির আড্ডায়। এমন উজ্জীবিত জ্ঞানচর্চা পৃথিবীর কম বিশ্ববিদ্যালয়েই লক্ষ করা যায়।

এ বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র রাজনীতি দেখেছি। কিন্তু সেই রাজনীতির কালচার একেবারেই ভিন্ন। এখানে সিপিএমপন্থী ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া, কংগ্রেসপন্থী ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া এবং বিজেপিপন্থী ছাত্র সংগঠন অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদকে সক্রিয় দেখেছি। তবে কোনো রকম সন্ত্রাস-সংঘর্ষ দেখিনি। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই তাদের ছাত্রসংসদের নির্বাচন পরিচালনা করে। নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে মঞ্চ সাজিয়ে প্রকাশ্য বিতর্ক হয়। আমি যখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম তখন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং এবং ইএমএস নম্বুদ্রিপাদের মতো জাতীয় নেতাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে দেখেছি। কোনো কলহ-বিবাদ দেখিনি।

এ বিশ্ববিদ্যালয়টি খুব পুরনো নয়। ১৯৬৬ সালে ভারতের পরলোকগত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর নামে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ এর অর্থায়ন ও প্রশাসনিক পরিচালনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। জওহরলাল নেহরু সম্পর্কে অনেকের অনেক সমালোচনা আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমিও মনে করি তিনি রাজনীতিতে অনেক দ্বৈততার আশ্রয় নিয়েছিলেন। কাশ্মীরে গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নানা অজুহাতে সেই প্রতিশ্রুতি এড়িয়ে গেছেন।

১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগ ও পাঞ্জাব ভাগের দায়িত্ব তার স্কন্ধে বর্তায়। অবশ্য এসব ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা ও ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের দায়িত্বও কোনো অংশে কম নয় বরং কিছুটা বেশি। ভাষাভিত্তিক দুটি জাতিগোষ্ঠীকে বিভক্ত করা তাদের হাতে অনিবার্য হয়ে ওঠে। এসব ছাড়া আরও অনেক প্রসঙ্গ আছে যা নিয়ে নেহেরুর সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু এসব প্রশ্নের বাইরে ব্রিটিশবিরোধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেহেরুর অবদান অনস্বীকার্য। এ রকম একটি মানুষের নামে একটি উচ্চ মানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

কিন্তু এখন হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শাসক দল বিজেপি তার হিন্দুত্বকরণের নীতিতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মোদি নরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় করার অসৎ বাক্য উচ্চারণ করছে। হতে পারে মোদি এ মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। এই জনপ্রিয়তার ভিত্তি খুবই দুর্বল। কারণ ধর্মীয় বিদ্বেষকে পুঁজি করে বেশিরভাগ মানুষের সমর্থন পটেকস্থ করা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের রাজনীতি শেষ পর্যন্ত টেকসই হতে পারবে না। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নরেন্দ্র মোদির কোনো অবদান ছিল না। শুধু ক্ষমতাসীন দল থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তার জীবদ্দশায় কোন যুক্তিতে একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলাতে হবে? বন্দে মাতরম স্লোগানটি বঙ্কিমচন্দ্র কর্তৃক উচ্চারিত হয়েছিল।

কিন্তু এ স্লোগান ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বিভক্ত করে ফেলেছিল। বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে রণধ্বনি ছিল ‘বন্দে মাতরম’। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম’ গানটির কেন্দ্রস্থলে ছিল দুর্গার স্তব। বঙ্কিম বাংলাদেশকে দুর্গার সঙ্গে একাত্ম করে দেখেছিলেন। ব্রিটিশ শাসকবিরোধী আন্দোলন হয়ে উঠেছিল হিন্দুত্ববাদী উত্থানের আন্দোলন। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নামে ধর্মীয় প্রতীকের জবরদস্তি প্রয়োগ হিন্দু-মুসলমানের বিভাজনকে তীব্র করতে সাহায্য করেছে। রবীন্দ্রনাথ শ্রী সুভাষচন্দ্র বসুকে লেখা এক পত্রে (১৯-১০-১৯৩৭) লিখেছেন, ‘বন্দে মাতরম গানের কেন্দ্রস্থলে আছে দুর্গার স্তব, এ কথা এতই সুস্পষ্ট যে এ নিয়ে তর্ক চলে না।

অবশ্য বঙ্কিম এই গানে বাংলাদেশের সঙ্গে দুর্গাকে একাত্ম করে দেখিয়েছেন, কিন্তু স্বদেশের এই দশভুজা মূর্তি রূপের যে পূজা সে কোনো মুসলমান স্বীকার করে নিতে পারে না। বাংলাদেশের একদল মুসলমানের মধ্যে যখন অযথা গোঁড়ামির জিদ দেখতে পাই তখন সেটা আমাদের পক্ষে অসহ্য হয়। তাদের অনুসরণ করে আমরাও যখন অন্যায় আবদার নিয়ে জিদ ধরি তখন সেটা আমাদের পক্ষে লজ্জার বিষয় হয়ে ওঠে।’ এখন ভারতে নতুন করে ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। এতে খোদ ভারতেই সাম্প্রদায়িক বিভাজন আরও তীব্র হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন এ উপমহাদেশের একটি রোগ। বাংলাদেশেও বহু প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর সঙ্গে ক্ষমতার একটি যোগ লক্ষ করা যায়। সমাজতাত্ত্বিকভাবে এর অর্থ হল, বিশেষ কোনো মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সিম্বল বা প্রতীকের ব্যবহার। ব্যক্তিবিশেষের নাম প্রতীকের অন্তর্র্ভুক্ত হয়ে যায়। এমনকি ব্যক্তিবিশেষের পোশাকও। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় জিন্নাহর টুপি ও গান্ধী টুপি একদিকে যেমন দলীয় প্রতীক হয়ে উঠেছিল, অন্যদিকে তেমনি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ভেদরেখাকে প্রখর করেছিল। সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, পুরো দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশ পশ্চাদ্গামিতার পথে হাঁটছে। হাঁটছে বর্বরতার পথে।

ড. মাহবুব উল্লাহ্ : অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058648586273193