রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার দেড়শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দিনটি কাটিয়ে দেয় অনেকটা ছুটির আমেজে। এতে করে উপজেলার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মৌলিক শিক্ষা ও তাৎপর্য উপলব্ধিসহ শহীদ স্মরণে তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সামান্যতম সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয় শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলায় মোট ৬টি কলেজ, ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২টি মাদরাসা, ১০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০টি কিন্ডার গার্টেনসহ প্রায় ২শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি কলেজ, ২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় দেড়শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ে ওঠেনি। এমনকি উপজেলার ১২টি মাদ্রাসার একটিতেও কোন শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এর অধিকাংশ স্থানীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় দিবসগুলোতে শহীদ মিনার বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কেউ কাটান ছুটির আমেজে আবার কেউ শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের জন্য তৈরি করেন বাঁশ, কাঠ ও কলা গাছের শহীদ মিনার। উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মতিন ফেরদৌস জানান, আমাদের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষা বাংলা ও স্বাধীনতা পেয়েছি। শহীদ মিনার শহীদের রক্তে ভেজা বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার প্রতীক। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ করাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা অতীব জরুরি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা জানান, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা উচিত। স¦ স্ব প্রতিষ্ঠান এলাকার ব্যক্তিদের ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধারনের মাধ্যমে শহীদ মিনার গড়ে ওঠা সম্ভব।