শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ শাকসু’র নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতদিন বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবদ্ধ থাকলেও শাকসু সচলের দাবিতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, শাকসু নির্বাচন হলে ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির অবসান হয়ে সুস্থধারার একটি প্লাটফর্ম তৈরি হবে। এদিকে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী শাকসু নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনও চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
শাকসু’র নথি ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে শাবির একাডেমিক পথচলা শুরু হলেও ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে গঠন করা হয় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্ম শাকসু। প্রতিষ্ঠার পর মোট পাঁচবার শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ আগস্ট নির্বাচনের পর থেকেই অচলাবস্থা শুরু হয় শাকসুতে। শাকসু’র দাবিতে ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাযিরুল আজম বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র শাকসুর নির্বাচনের প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু করার দাবি জানান।
শাকসু নির্বাচনের বিষয়ে শাকসু সর্বশেষ ভিপি কামরুল আহমেদ কাবেরী বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই এ নির্বাচন হওয়া উচিত।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাকসু নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে আমাদের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ক্যাম্পাসে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ, সময়োপযোগি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, নির্বাচনী বিধি-আচরণবিধি প্রণয়ন, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূরীভূতকরণসহ বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
ছাত্রদলের সভাপতি এম এ রাকিব বলেন, আমরা নির্বাচনের পক্ষে। তবে এর আগে ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। শাবি শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নির্বাচনের আয়োজন করে, তবে কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করব।