শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) গ্রাফিতি নিষিদ্ধ। কিন্তু বুধবার রাতের আঁধারে কে বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়াল ও টং-দোকানগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে এ নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন 'ই'-এর পাশে একটা দেয়ালে বিপন্ন ছাত্রজনতার গ্রাফিতির পাশে লেখা 'শাবিপ্রবিতে গ্রাফিতি নিষিদ্ধ'। তার পাশেই বড় করে লেখা 'চুপ'। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের টং- দোকানগুলোতেও গ্রাফিতি রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে 'অনেক নিষিদ্ধের শাবিপ্রবি' এমন গ্রাফিতি আঁকা রয়েছে। এসব দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটা প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারী নিয়মনীতির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ।
এদিকে, শীতকালীন ছুটিতে আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে গত ২০ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রক্টরিয়াল বডির বাধা দেওয়ার পর থেকে আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসের দাবিতে এবং প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় গোলচত্বরে একত্র হয়ে তারা সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, হল খোলা রাখাসহ ছয়টি আশু দাবি এবং শতভাগ আবাসিক ব্যবস্থা ও একাডেমিক ভবনগুলোর নামকরণসহ ১০টি দীর্ঘমেয়াদি দাবি জানান। আশু দাবির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর এবং দীর্ঘমেয়াদি দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার বলেন, ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সহায়ক যে কোনো দাবি কর্তৃপক্ষের পালন করা উচিত। সেটা সঠিক পথে যথাযথ জায়গায় উপস্থাপন করতে হবে। তা ছাড়া ছাত্রদের দাবি একজন ছাত্র-উপদেষ্টা কেন জানবেন না, তারা কেন তার কাছে আসবেন না।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।