১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ২৬ ডিসেম্বর। টাকা জমা দেয়ার সময় শেষ হবার কথা ছিল আজ (২৯ ডিসেম্বর)। নির্বাচনের কারণে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় অনেকে টাকা জমা দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। তারা দৈনিক শিক্ষার মাধ্যমে অনুরোধ করেছেণ নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে। এ প্রেক্ষিতে দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে জানা যায়, নিবন্ধনের জন্য যে সব প্রার্থী আবেদন করেছেন এবং পিন নম্বর পেয়েছেন তারা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত টাকা জমা দিতে পারবেন। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) এনটিআরসিএ এবং টেলিটক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন শনিবার সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে প্রায় ১০ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে সাত লাখ প্রার্থী অনলাইন আবেদনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন ও আবেদন ফি জমা দিয়েছেন। বিভিন্ন কারণে অনেক আবেদনকারী এখনো ফি জমা দেননি। তাদের জন্য আবেদনের ফি জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। যতটুকু সময় তারা টাকা জমা দিতে পারেননি, ততটুকু সময় তাদের জন্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নতুন বছরের এপ্রিলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
যে সব প্রার্থী আবেদন করেছেন এবং পিন নম্বর পেয়েছেন তারা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ফি জমা দিতে পারবেন। নতুবা আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ নভেম্বর ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মামলাজনিত কারণে প্রায় এক বছর পর নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এরপর ৫ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে।
জানা গেছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ও স্থান প্রার্থীদের এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস ৪০ বলে গণ্য হবে। পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বর থাকবে। প্রতি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর হতে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর লিখিত পরীক্ষা হবে। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবে। এরপর ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।