শিক্ষক নিয়োগ : শূন্যপদের তথ্য সংশোধন ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বেশকিছু প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বা ডিইওদের শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও সংশোধনের দায়িত্ব দিয়েছে এনটিআরসিএ। ৩১ জানুয়ারি থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করতে পারছেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও এডিট করা যাবে। আর ইতোমধ্যেই প্রায় ৫৭ হাজার শূন্যপদে তথ্য সংগ্রহ করেছে এনটিআরসিএ।

যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান শূন্যপদে তথ্য দিতে ভুল করেছেন, তারা জেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে এসব ভুল সংশোধন করতে পারবেন। এনটিআরসিএর একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রার্থীদের। এ জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছে এনটিআরসিএ।  শূন্যপদের ভুল তথ্যের ভোগান্তি এড়াতে এবার ই-রিকুইজিশন যাচাই বাছাইয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। এদিকে এনটিআরসিএ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, শূন্যপদের তথ্য যাচাই বাছাইয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা নিজ নিজ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ভুল তথ্য পাঠালে তা সংশোধন করতে পারবেন।    

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে ই-রিকুইজিশনে চাওয়া শূন্যপদের তথ্য ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা এমপিও নীতিমালা বা জনবল কাঠামো অনুযায়ি কম-বেশি হলে তা সংশোধন করার ক্ষমতা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান শূন্যপদে তথ্য দিতে ভুল করেছে তারা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে যেসব ভুল সংশোধন করতে পারবেন। জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য যাচাই করবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তথ্য সঠিক থাকে তা সঠিক বলে সাবমিট দিবেন তিনি। আর তথ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে এনটিআরসিএতে সাবমিট করবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা।

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করতে পারেছেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও এডিট বা সংশোধন করতে পারবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। নিজ নিজ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে লগইন করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শূন্যপদে তথ্য যাচাই ও সংশোধন করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও সংশোধনের কাজ অবশ্যই শেষ করতে হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের যাচাই করা পদগুলো সঠিক বলে বিবেচনা করবে এনটিআরসিএ। সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানা থাকলে এনটিআরসিএর অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। অফিস চলাকালীন ০২-৪১০৩০৩৯৩ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

গত ১৪ জানুয়ারি থেকে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া চলার কথা থাকলেও এ সময় বাড়ায় এনটিআরসিএ। গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫৭ হাজার শূন্যপদের তথ্য এনটিআরসিএতে পৌঁছেছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ দিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কোনো প্রতিষ্ঠান শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে সে পদে সুপারিশ করা প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত শূন্যপদের চাহিদা দিলে শিক্ষকের শতভাগ বেতন প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বন্ধ করা হবে। আর কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমপিও নীতিমালায়ও এমনটি বলা আছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028870105743408