শিক্ষক নিয়োগ : শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ শেষ হচ্ছে কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে সংগ্রহ করা তথ্যে এসব শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই ফের শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। 

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের সাড়ে ১৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। তবে, যাচাইয়ে শূন্যপদের সংখ্যা আরও কমতে পারে। কমপক্ষে অর্ধলক্ষাধিক এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের প্রস্তুতি নিতে কারিগরি সহায়তা দানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের কর্মকর্তাদের সাথে সভা শেষে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের ফের সুযোগ দেয়া হয়।

এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। ই রিকুইজিশন শেষ হওয়ার পর শূন্যপদের তথ্য ছিল ৫৯ হাজারের বেশি। কিন্তু যাচাইয়ে সে সংখ্যা কমেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৫৭ হাজরের বেশি শূন্যপদ রয়েছে। দেশের ১৯ হাজার ৪৭১টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্যপদের তথ্য দিয়েছেন। 

এনটিআরসিএর  ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করার পরেও তার এমপিও হয়না শূন্যপদের ভুল তথ্যের কারণে। যা প্রার্থীদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। ২য় চক্রের শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া কয়েকশ শিক্ষক এ জটিলতার কারণে এখনও এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি। পরবর্তী নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়ায় যাতে এ জটিলতার সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পর্যন্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হবে। সর্বশেষ যাচাই শেষে অর্ধলক্ষাধিক শূন্যপদ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদাপত্র যাচাই করে যেগুলোর সংশোধন বা পরিমার্জন প্রয়োজন মনে করবেন, সেগুলো প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দিয়ে সংশোধন করাবেন। ৫ মার্চের মধ্যে এসব চাহিদাপত্র সংশোধন করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিজ নিজ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নির্ধারিত  ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd) লগইন করে Edit Option এ গিয়ে চাহিদাপত্র সংশোধন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানে থেকে পাওয়া সংশোধিত চাহিদা পত্রের কপি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা প্যানেলে দেখতে পারবেন। চাহিদাপত্র যাচাইয়ের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিজ নিজ প্যানেল পেইজের নিচের Save and Submit button এ ক্লিক করে চাহিদাপত্র চূড়ান্তভাবে সাবমিট করতে পারবেন। শূন্য পদে তথ্য সংশোধনের প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ করেছে এনটিআরসিএ। জানা গেছে, এরপর শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হবে না।

শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশ করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শূন্যপদের তথ্যে এখনো কিছু ভুল আছে বলে আমরা ধারণা করছি। বেশ কয়েকজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তথ্য সংশোধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তখন সে সময় বাড়ানো হয়নি। এনটিআরসিএ ক্লিন নিয়োগ দিতে চায়। শূন্যপদের তথ্যে কোন ভুল পুরোপুরি সংশোধনের আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন নিতে চায়না এনটিআরসিএ। শূন্যপদের ভুল তথ্য সংশোধনের পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করা হবে। তবে, চলতি মার্চ মাসেই ৩য় শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ দিতে কার্যক্রম শুরু করেছে এনটিআরসিএ। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053269863128662