চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১ হাজারের বেশি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী সুপারিশ করে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এসব পদের ভুল তথ্য দেয়ায় নিয়োগ সুপারিশ পেয়ে যোগদান করেও এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না অনেক প্রার্থী। পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগে এই জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে এনটিআরসিএ। শূন্যপদের ভুল তথ্যের ভোগান্তিতে রুখতে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন।
চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ই-রেজিস্ট্রেশন চলছে। কয়েকজন প্রতিষ্ঠান প্রধানের তথ্য হালনাগাদকরণ এখনো বাকি আছে। তাদের তথ্য হালনাগাদ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। শিগগিরই ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য আসায় অনেক প্রার্থী ভোগান্তিতে পরেছেন। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাইলে এস এম আশফাক হুসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগে মহিলা কোটা কম্পিউটার নির্ধারণ করতো। এ নিয়ে অনেক প্রার্থী জটিলতায় পরেছেন। তাই, এ বছর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সুস্পষ্টভাবে শূন্যপদটি মহিলা কোটা বা মেধাভিত্তিক সে বিষয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ঘোষণা করবেন। এছাড়া এ বছর প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সুস্পষ্টভাবে শূন্য পদের তথ্য দিতে পারবেন। ভুল তথ্যে যাতে কেউ ভোগান্তিতে না পরে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেয়া তথ্য তদারকির দায়িত্ব ছিল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। কিন্তু যখন পদগুলোতে প্রার্থী সুপারিশ করা হয় ও ভুল তথ্যের কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয় তখন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন এ তথ্য তারা পাঠাননি। এ জটিলতা নিরসনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নয় জেলা শিক্ষ কর্মকর্তাদের শূন্যপদের তথ্য তদারকির দায়িত্ব দেয়া হবে।
‘এছাড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শুধু সফটওয়ারেই তথ্য পাঠাবেন তা নয়। একই সাথে রিপোর্ট আকারে এসব তথ্য আনা হবে। যাতে কর্মকর্তারা অস্বীকার না করতে পারেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করে রিপোর্ট পাঠাবেন যাতে পরে জটিলতা সৃষ্টি না হয়।’ যোগ করেন এস এম আশফাক হুসেন।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া পরিচালনায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিস্তারিত করণীয় উল্লেখ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। ওয়েবসাইটে প্রদর্শিতব্য এ নির্দেশিকায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানদের করণীয় উল্লেখ থাকবে।’
ইতোমধ্যে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে দেয়া এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেনের ভিডিও সাক্ষাৎকারটি দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: বদলে যাচ্ছে শিক্ষক নিয়োগের ই-রিকুইজেশন প্রক্রিয়া
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।