শিক্ষক পদে অযোগ্য লোক নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শিক্ষক নিয়োগের সাথে জড়িত। তাই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শতভাগ সুষ্ঠুভাবে নিতে চাই। কারণ শিক্ষকরাই আমাদের আগামী প্রজন্মকে জীবনে চলার পথ দেখাবেন। আর তাই, শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএকে শক্তিশালী করা হয়েছে। কোনো অযোগ্য লোক যাতে শিক্ষক হতে না পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় কেউ যেন অবৈধ বা অসাধু উপায়ে সুবিধা নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় সিদ্ধেশ্বরী কলেজে শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ১১ লাখ ৭৬ হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৬ লাখ ১০ হাজার ২৬৬ জন, স্কুল পর্যায়-২ এ ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৫ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। সারাদেশের ২৪টি জেলা শহরের ৭৭৭টি ভেন্যুতে এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে রাজধানীর রমনার সিদ্ধেশ্বরী কলেজে নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই সিদ্ধেশ্বরী কলেজে পৌঁছান সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি ভেন্যুর বেশ কয়েকটি কক্ষ পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন, কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ জুলহাস উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ সায়রা বেগম।
পরীক্ষা পরিচালনা বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সিনিয়র সচিব আরও বলেন, সার্বিকভাবে পরীক্ষাটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলছে। প্রার্থীরা নিজ নিজ পরীক্ষায় মনযোগ দিচ্ছেন।