গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা ওরফে মোছাম্মদ বেগম (মা) ও ছেলে জুলফিকার আলী সাহেবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউপির সাহেবগঞ্জ ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে একজন মা এবং সাহেবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন।
সাহেবগঞ্জ ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাকী সরকার বলেন, সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা তার স্ত্রী এবং সাহেবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জুলফিকার আলী (বেলজিয়াম) তার ছেলে। একপর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে জন্ম তারিখ জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, যেভাবেই হোক তারা শিক্ষক পদে চাকরি করছেন।
স্ত্রীর নাম রওশন আরা বেগম কিন্তু প্রকৃত নাম গোপন করে ছদ্ম নাম মোছাম্মদ বেগম হিসেবে চাকরি করছেন। তার জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১ জানুয়ারি ১৯৭৮। কিন্তু মজার বিষয় হলো শিক্ষিকার জন্মের মাত্র ২ বছর পর তাদের বিয়ে হয়। এবং সাহেবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জুলফিকার আলীর জন্ম ২২ অক্টোবর ১৯৮২। মা-ছেলের জন্ম তারিখ হিসাব করে দেখা গেছে ছেলের তুলনায় মা ৪ বছরের বড়।
প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি খুব সহজ ভাষায় জানান চাকরির ক্ষেত্রে এ ছাড়া আমার অন্য কোনো উপায় ছিল না। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।