নেত্রকোনার কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৯ জনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।সোমবার (২১মে ) রাতে মামলাটি করেন কলেজের অধ্যক্ষ উত্তম কুমার কর। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদে গতকালের একাদশ শ্রেণির বর্ষ সমাপনী ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিতসহ ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকালে কলেজে একাদশ শ্রেণির বর্ষ সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্রলীগ সমর্থক পরীক্ষার্থীরা ফি কম দেওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষকরা যাতে দায়িত্ব পালন না করেন এমন কিছুু দাবি জানায়। কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা এ আবদার প্রত্যাখ্যান করেন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের কিছু নেতা শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করলে এর প্রতিবাদ করেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবদুল কাদের। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আপেলের নেতৃত্বে কয়েকজন ওই শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তাঁকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর শিক্ষকরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। তাঁরা তাৎক্ষণিক ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ জানান। গতকাল এ বিষয়ে ‘কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী বলেন, অভিযোগটি দ্রুতবিচার আইনে রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।