নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ১৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩১টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি প্রধান শিক্ষক ও ৫১টি সহকারি শিক্ষকের পদ। এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।
প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সহকারি শিক্ষকরা। ফলে বিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনিক ও শিক্ষর্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
কমলাকান্দা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারি শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কয়েকটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা জানান, আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করি। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৫-৬ ঘণ্টা ক্লাস নিই। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় কাজে ভোটগ্রহণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, শিশু জরিপ, আদমশুমারীসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করতে হয়। আমাদের নির্ধারিত ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যেদিন দাপ্তরিক কাজে শিক্ষা অফিসে ছুটতে হয়, সেদিন ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় উপজেলার বেশ কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।