মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ভয়াবহ শিক্ষক সংকট দূর করার বিকল্প নেই। আর শিক্ষক সংকট নিরসনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্যানেল করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা। তাই, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় বাদপড়া ৩৭ হাজার প্রার্থীকে প্যানেল করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। তবে, এ ক্ষেত্রে দেশের সংগ্রামী ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার ওপরও জোর দিয়েছেন নেতারা।
শনিবার (১৬ মে) দৈনিক শিক্ষাডটকম পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান পরিষদের নেতারা।
পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের সময় ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যানেল করে নিয়োগ চালু ছিল। ভয়াবহ শিক্ষক সংকট নিরসনে প্রাথমিকে আরও শিক্ষক নিয়োগ দেয়া জরুরি। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ তে সারাদেশ থেকে প্রায় ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য হতে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, যা মোট প্রার্থীর মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ। যা থেকে বোঝা যায়, যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা অযোগ্য না।
তাই বিজ্ঞপ্তিতে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মৌখিক পরীক্ষায় বাদপড়া ৩৭ হাজার প্রার্থীকে প্যানেল করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান পরিষদের নেতারা। শিক্ষক নেতারা বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, তবে, এ ক্ষেত্রে দেশের সংগ্রামী ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রার্থীদের জ্ঞান যাচাই করতে হবে। আর ভবিষ্যতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের উপর ৩০ নম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় রাখায় ওপর গুরুত্বারোপ করেন শিক্ষক নেতারা। তাদের মতে, এর মাধ্যমেই দেশের সংগ্রামী ইতিহাস সম্পর্কে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের জ্ঞান অর্জন নিশ্চিত করা সহজ হবে।