নীলফামারীর ডোমারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদরাসার শিক্ষক আশরাফ আলীকে (৫৫) কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে দূর্বত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ও সন্তান। উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাঝাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, বামুনিয়া ঘনপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আশরাফ আলীর পরিবারের এবং প্রতিবেশী কারিমুল ইসলাম ও কহিরুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এরেই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে কারিমুলের ছাগল আশরাফ আলীর ধান ক্ষেত নষ্ট করে। হাফেজ আশরাফ ছাগলটি তার ক্ষেত থেকে ছাগলটি ধরতে গেলে কারিমুলের পরিবারের সাথে ঝগড়া শুরু হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘এ সময় কারিমুল, কহিরুল ও রাজুসহ অনেকে মিলে হাফেজ আশরাফকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধরক মারপিট করে। হাফেজ আশরাফের স্ত্রী রাশেদা বেগম ও ছেলে আসাদুজ্জামান আল মাদানী বাবাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা মা ও ছেলেকেও মারধর করে। তাদের লাঠির আঘাতে রাশেদা বেগমের হাত ভেঙে যায়। অপরদিকে কারিমুল ধারালো দা দিয়ে হাফেজ আশরাফের মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় আশরাফ মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পথচারী ও এলাকাবাসী আশরাফ, তার স্ত্রী রাশেদা ও ছেলে মাদানীকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্য ভর্তি করে।’
শিক্ষক আশরাফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। রাশেদা ও মাদানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মামলা হলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।