পাবনায় শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শামসুদ্দিন জুন্নুনকে আটক করেছে পাবনা পুলিশ । শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, প্রভাষক মাসুদুর রহমানকে মারধরের মামলায় শামসুদ্দিন জুন্নুন এজাহার নামীয় আসামি না হলেও ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তবে, অপর এক সূত্র জানায়, ৩৬তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা প্রভাষক মাসুদুর রহমানের পক্ষে ৩৬ বিসিএস সর্ব ক্যাডার সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে মারধরের নেতৃন্দদানকারী জুন্নুনকে গ্রেফতারের দাবি জানান। এর পরপরই গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় জুন্ননকে। মারধের মামলায় জুন্নুনকে বাদ দিয়ে অপরাপর সহযোগীদের আসামী করা হয়। মামলার বাদী বুলবুল কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ।
গত ১২ মে পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাসুদুর রহমানের ওপর ছাত্রলীগের কতিয় নেতাকর্মী হামলার চালায়। ভুক্তভোগী ৩৬তম বিসিএসের শিক্ষক মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ৬ মে কলেজের ১০৬ নম্বর কক্ষে উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলাম। এ সময় দুজন পরীক্ষার্থী দেখাদেখি করায় তাদের সতর্ক করি। তারপরও তারা বিরত না হলে কিছু সময়ের জন্য খাতা জব্দ করে রাখায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। এ ঘটনার পর বুঝতে পারছিলাম ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ। পরে ১২ মে বাড়ি ফেরার সময় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শামসুদ্দীন জুন্নুনের নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মারে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।