হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মো: সলিমুল্লাহকে মারধরের ঘটনায় কিশোরগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের দায়ের করা মামলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বামী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিসকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়াও চিহিৃত তিনজনসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আদালতের বিচারক নির্বাহী হাকিম সাগুফতা হক বিবাদিদের পক্ষকে আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আক্তারের স্বামী। তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকা-ে অনিয়ম- দুর্নীতি এবং শিক্ষকদের সঙ্গে অসাদাচরণ করেন। তাঁর এসব কর্মকা-ের প্রতিবাদ করতেন শিক্ষকরা। তার বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: মুখলেছুর রহমান হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। এর তদন্ত চলাকালে গত ৩১ জুলাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে সলিমুল্লাহকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হোসেনপুর উপজেলার চলতি দায়িত্বে থাকা আবদুল্লাহ আল-মাসউদ, হোসেনপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), হোসেনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:আবুল হোসেন এ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় লাঞ্ছিত শিক্ষক সলিমুল্লাহসহ ৮ জন শিক্ষক বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।