গোপালগঞ্জে পাইককান্দি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জগলুল খানকে হত্যা মামলার আসামি করে হয়রানি কারা প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) গোপালগঞ্জ জেলা শাখার শিক্ষক নেতারা। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা। পরে, শিক্ষক সমিতির নেতারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৯ জুলাই পাশ্ববর্তী শশাবাড়িয়া গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পাইককান্দি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জগলুল খানকে হুকুমদারী আসামি করা হয়েছে। জগলুল খানের বাড়ি ওই গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে স্বপরিবারে গোপালগঞ্জ শহরে বসবাস করছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, হয়রানি করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শিক্ষক জগলুল খানকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। ওই হত্যা মামলা থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জগলুল খানকে অব্যাহতির দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য গত ১৯ জুলাই বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে গিয়ে জসিমকে কুপিয়ে হত্যা করে বখতিয়ার ও তার দলবল। এ ঘটনার পর জসিমের মা রেবা বেগম বাদী হয়ে বখতিয়ারসহ ২৭ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) ফরিদপুর অঞ্চলের সভাপতি সরোয়ার হোসেন তালুকদার, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মাহে আলম, হাজী খোরশেদ সপ্তপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ মোল্যা, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুশান্ত কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জেলা শিক্ষক সমিতির শিক্ষা সংকৃতি বিষয়ক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, পাইককান্দি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সন্তোষ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।