শিক্ষকতা ফেলে অধিদপ্তরে

রাজবংশী রায় |

সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ছিলেন তারা। কেউ ছিলেন অধ্যক্ষ, কেউ ছিলেন অনুষদের ডিন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি তারা মেডিকেল কলেজের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পাঠদান ফেলে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হয়ে গেছেন। শিক্ষকতার পরিবর্তে তারা এখন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন। তারা যেসব পদে দায়িত্ব পালন করছেন, সেগুলো তাদের একাডেমিক বিষয়ের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নয়। 

ওপরের এই চিত্র যদি উদ্বেগজনক হয়, তাহলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের একাংশের কার্যত এই পেশা পরিবর্তনের ফলাফলকে তীব্রই বলতে হবে। এমন নয় যে, সরকারি কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক আছে বলেই তারা এই সুযোগ পেয়েছেন। চিত্রটা ঠিক উল্টো। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দুই-তৃতীয়াংশ সরকারি মেডিকেল কলেজে  শিক্ষক সংকট চরমে পৌঁছেছে। পাঁচটি মেডিকেল কলেজে বেসিক বিষয় ফার্মাকোলজি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে কোনো শিক্ষকই নেই। ১০ মেডিকেল কলেজে কোনো বিষয়েই অধ্যাপক নেই। কোনো কোনো মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক পর্যন্ত নেই। আবার কয়েকটি মেডিকেল কলেজে প্রভাষকরাই শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। 

মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও উদ্বিগ্ন। সংকট নিরসনে করণীয় নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতি মাসেই অন্তত একটি করে সভা করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।

সভায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক সংকট দূরীকরণের সভায় যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়, তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। যেমন- রাজধানীর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে অবস্থানকারী অতিরিক্ত চিকিৎসদের দেশের বিভিন্ন কলেজে পাঠানোর উদ্যোগ সফল হচ্ছে না। 

বিষয়টি স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বেসিক বিষয়ে চিকিৎসকদের আকৃষ্ট করতে তাদের প্রণোদনা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দু'দফা বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় আগ্রহ প্রকাশ করেনি। তবে বেসিক বিষয়ে কীভাবে শিক্ষক ধরে রাখা যায়, তা নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। বেশকিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, বেসিক বিষয়ে শিক্ষক সংকট দূরীকরণে সরকারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমলাতান্ত্রিক পন্থায় এ সংকট দূর করা সম্ভব হবে না। বেসিক বিষয়ে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। বেসিক বিষয়ের শিক্ষকদের যেন কোনোভাবেই কর্মকর্তা অথবা ম্যানেজারিয়াল দায়িত্ব না দেওয়া হয়, সরকারকে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বেসিক বিষয়ের শিক্ষক নেই :  অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি. মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও কমিউনিটি মেডিসিন- এই নয়টি বেসিক বিষয়ে শিক্ষক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সরকারি ৩০ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য এক হাজার ২২৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৮৩ জনই প্রভাষক। অধ্যাপক আছেন মাত্র ৮৬ জন। ছয়জন করে অধ্যাপক আছেন ফরেনসিক ও কমিউনিটি মেডিসিনে। ফার্মাকোলজি ও প্যাথলজিতে ১০ জন করে, মাইক্রোবায়োলজিতে নয়জন, বায়োকেমিস্ট্রিতে ১৪ জন, ফিজিওলজিতে ১৫ জন এবং অ্যানাটমি বিভাগে ১৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন। বাকিরা সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক। এসব শিক্ষকের মধ্যে ২৫ জন আগামী ছয় মাসের মধ্যে অবসরে চলে যাবেন। সবচেয়ে কম শিক্ষক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে। মাত্র নয়জন শিক্ষক রয়েছেন এখানে। ফার্মাকোলজি ও প্যাথলজি বিভাগে কোনো শিক্ষকই নেই। একইভাবে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে, জামালপুর মেডিকেল কলেজে ফার্মাকোলজি, প্যাথলজি ও ফরেনসিক মেডিসিনে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে কোনো শিক্ষক নেই। মুগদা, রাঙামাটি, পটুয়াখালী, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, মালেক উকিল মেডিকেল, খুলনা মেডিকেল কলেজে কোনো বিষয়েই অধ্যাপক নেই। অন্যান্য মেডিকেল কলেজগুলোতে একজন আবার কোনো কোনো মেডিকেল কলেজে দু'জন অধ্যাপক রয়েছেন। কয়েকটি মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপকও নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ  বলেন, বেসিক বিষয়ে পদের বিপরীতে অর্ধেকেরও কম শিক্ষক রয়েছেন। প্রতি বছরই বেসিক বিষয়ের ২৫ থেকে ৩০ জন করে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অবসরে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে চিকিৎসকরা আগ্রহী না হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষক তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।

কিন্তু বেসিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে চিকিৎসকরা আগ্রহী হচ্ছেন কেন? ডা. এম এ রশিদ জানালেন, বেসিক বিষয়ের চিকিৎসকরা নন-প্র্যাকটিসিং। কিন্তু ক্লিনিক্যাল বিষয়ের চিকিৎসকরা শিক্ষকতা ও প্র্যাকটিস দুটিই করতে পারেন। শুধু কনসালট্যান্টরা প্র্যাকটিস করতে পারেন। এ কারণে ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোর দিকে চিকিৎসকদের নজর বেশি। সবাই কনসালট্যান্ট হতে চান। বেশ কয়েক বছর ধরে বেসিক বিষয়গুলোর ওপর চিকিৎসকদের আগ্রহ কমতে শুরু করেছে।

পাঠদান ফেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে : সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করলেও সেদিকে খেয়াল নেই শিক্ষকদের। কয়েকজন শিক্ষক লবিং-তদবির করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর থেকে শুরু করে বড় বড় পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বায়োকেমিস্ট্রির শিক্ষক। তার মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর কথা। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ তিনি মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। 

একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও বায়োকেমিস্ট্রির শিক্ষক অধ্যাপক ডা. নাসিমা বেগমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন চোখের চিকিৎসক ও শিক্ষক। চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চিকিৎসক ও শিক্ষককে প্রথমে নন-কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের পরিচালক করা হয়। পরে তাকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করা হয়। বিভিন্ন কারণে তিনি পদত্যাগও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে পদে বহাল রাখে। 

ডা. কাজী জাহাঙ্গীরকে অধিপ্তরের হাসপাতাল শাখার লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। তিনি জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) এপিমেডিওলজিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রায় দেড় বছর আগে তাকে ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনাকে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। তিনি মাইক্রোবায়োলজির শিক্ষক। একই সময় হাসপাতাল শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলামকে মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়। প্রায় দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে তাকে প্রথমে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক করা হয়। পরে আবার টিবি ও এসটিডি/এইডস প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। তিনি প্যাথলজির শিক্ষক।

সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল হাসেমকে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। ওই পদে দায়িত্ব পালনকালেই তাকে আবার চলতি দায়িত্বে অধ্যাপক করা হয়েছে।

মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকটের মধ্যেও শিক্ষকদের কেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার একার সিদ্ধান্তে কর্মকর্তা পদায়ন করা হয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়। সংশ্নিষ্ট কমিটি যেসব কর্মকর্তাকে অধিকতর যোগ্য ও দক্ষ মনে করেন, তাদের এসব পদে পদায়ন করে। 

নিজের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি বায়োকেমিস্ট্রির শিক্ষক। দীর্ঘদিন নিপসমে কাজ করেছেন। তার কাছে মনে হয়েছে, শিক্ষকতার তুলনায় ব্যবস্থাপনায় তিনি জনগণের অধিকরত সেবা দিতে পারবেন। এ কারণে এমআইএস প্রোগ্রামে যোগদান করেছিলেন। সেখান থেকে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে মহাপরিচালক হয়েছেন।

সরকারি উদ্যোগও কাজে আসছে না :  শিক্ষক সংকটের কারণে দেশের ১৮টি মেডিকেল কলেজে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গত বছর ওইসব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষরা বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। এরপর জুনিয়র ও সিনিয়র কনসালট্যান্টদের দিয়ে মেডিকেল কলেজে বিষয়ভিত্তিক পাঠদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশও জারি করেছিল। আদেশে মুগদা, ফদিরপুর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া, পাবনা, জামালপুর, টাঙ্গাইল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ এম মনসুর আলী, মানিকগঞ্জ, রাঙামাটি, পটুয়াখালী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ সায়েরা খাতুন, আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজে সংশ্নিষ্ট হাসপাতালের কনসালট্যান্টরা শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক পাঠদান করবেন বলে জানানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালট্যান্টদের মধ্যে বেসিক নয় বিষয় পড়ানোর মতো কোনো শিক্ষক নেই। কয়েকটি মেডিকেল কলেজে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি অ্যান্ড অবস বিষয়ে কনসালট্যান্টরা পাঠদান করলেও শিশু, চর্ম ও যৌন, সাইকিয়াট্রি, ফিজিক্যাল মেডিসিন, অর্থোপেডিক্স, চক্ষু, ইএনটি, অ্যানেসথেশিয়া, ডেন্টাল বিষয়গুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। 

বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজেই এসব বিষয়ে পাঠদানের শিক্ষক নেই। এ অবস্থায় কোনো কোনো মেডিকেল কলেজে এক বিভাগের শিক্ষক দিয়ে অন্য বিভাগের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। 

যে কারণে সংকট :  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিন শতাধিক সহকারী, সহযোগী ও অধ্যাপক ওএসডি পোস্টিং নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে অবস্থান করছেন। চিকিৎসক ও শিক্ষক সংকটে থাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বদলি করা হলেও তারা সেখানে যেতে চাচ্ছেন না। উচ্চ পর্যায়ে লবিং-তদবির করে তারা তা প্রত্যাহার করিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করেও পরে আর উপস্থিত থাকছেন না। এমনকি রাজধানীর বাইরের মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে প্যানেল গঠনের জন্য সরকার আবেদন আহ্বান করলেও তাতে কেউ সাড়া দেয়নি। তাদের এ ধরনের মনোভাবের কারণে ঢাকার বাইরে সরকারি চিকিৎসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, সচিব হিসেবে এই বিভাগে তিনি নতুন যোগদান করেছেন। তবে স্বল্প সময়েই তিনি শিক্ষক সংকটের বিষয়ে অবহিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও ডেকেছেন। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসবেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও অবহিত করা হবে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান সচিব।

 

সৌজন্যে: সমকাল


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046699047088623