শিক্ষকদের অনিয়ম ধরতে স্কুল পরিদর্শনে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনিয়ম ধরতে ঝটিকা পরিদর্শনে নেমেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঝটিকা পরিদর্শন করেন তিনি। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে কি না তা দেখতে প্রতিমন্ত্রীর এ ঝটিকা পরিদর্শন বলে জানা গেছে।

পরিদর্শনকালে শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি, শ্রেণি কার্যক্রম, লেখাপড়ার মান, স্কুলের পরিবেশ, শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রীসহ সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি না খোঁজ নেন তিনি।

দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় মিরপুর বেড়িবাঁধ এ ব্লক এলাকার বাউনিয়া বাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। দুটি স্কুলেরই ভবন জরাজীর্ণ। আধাপাকা ভবনের ওপরে টিনের চাল ভাঙাচোরা। শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ সংকট। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর কাছে ভবন সংস্কারের দাবি জানান শিক্ষকরা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, যা দেখলাম তা খুবই হতাশাজনক। তবে দ্রুত ভবন নির্মাণের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি। 

দুপুর দেড়টায় একই এলাকার শহীদবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান প্রতিমন্ত্রী। এ স্কুলের শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি থাকলেও প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ছিল অনুপস্থিত। এছাড়া একজন শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় বহিরাগত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানোর প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান পড়ালেখা করে। তাদের অনেকে বিভিন্ন কাজে যুক্ত। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েও পরে চলে যায়। তবে স্কুলে মিড ডে মিল চালু থাকায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বহিরাগত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানো বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, একজন শিক্ষিকা মাতৃকালীন ছুটিতে থাকায় তার ক্লাসগুলো যাতে মিস না হয় তাই বহিরাগত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। তাকে মাসিক এক হাজার টাকায় অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে এটি অনৈতিক মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে শিক্ষিকা ছুটিতে তার ক্লাসগুলো আপনাদের করানো কথা, সেখানে অনিয়ম করে বাহিরাগত একজনকে দিয়ে ক্লাস করাতে পারেন না।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ক্লাস কার্যক্রমের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল পৌনে ৩টা ও মফস্বলে ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে সারাদেশে সকাল ৭টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত ক্লাস করানো নির্দেশনা দেয়া হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031669139862061