আয় ফেরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ ও আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা। অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কাটার আদেশ প্রত্যাহার ও পেনশন ব্যবস্থা চালু করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার (২ জুলাই) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুরোধপত্র জমা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
এ সময় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি ও মহাসচিব মো. মিজবাহুল ইসলাম প্রিন্সসহ সমিতির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুরোধ পত্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ফেরত নিয়ে এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কাটার আদেশ প্রত্যাহার, ঈদুল আযহার আগেই ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস দেয়া এবং বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড বন্ধ করে পেনশন ব্যবস্থা চালু করা।
অনুরোধপত্রে আরও বলা হয়, ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা পাওয়ার পরেও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন বৈষম্যের শিকার। শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের চাঁদা বাবদ বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও থেকে ১০ শতাংশ কেটে রাখা হচ্ছে। এতে শিক্ষক সমাজ ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাই, অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কাটা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন শিক্ষক নেতারা।
এ সময় সমিতির নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন, এই আমাদের আশা। এছাড়া অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কাটা বন্ধ, শতভাগ উৎসব ভাতা, পুর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও অবসর কল্যাণ ট্রাস্টে বিলুপ্তি করে পেনশন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সহোযোগিতা করবেন বলেও আমরা আশাবাদী।