শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ আইসিটি শিক্ষায় খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রাইমারী ও সেকেন্ডারি লেভেলে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনসহ ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষাক্রম উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রান্তিক জনপদে ও আইসিটি শিক্ষা চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিজের ভাষায় শিক্ষায় জোর দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সদরে ইউনেস্কোর ৪০তম জেনারেল কনফারেন্সে বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন। ইউনেস্কোর ৪০তম জেনারেল কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আহমেত আলতাই সেনজিজারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক মাদাম অদ্রে অজুলে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাস্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ মনজুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেস ইউনেস্কোর ৪০ তম জেনারেল কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন। সারা বিশ্বের ১৯৩ দেশ এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে রোল মডেল হবে। এ লক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘এসডিজি-4’ সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে সরকার খুব গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রাইমারী শিক্ষায় এনরোলমেন্টের হার ৯৮ শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থীর তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর পরিমাণ বেশী। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি, ভার্চুয়াল রিয়ালিটিরমত বিষয়গুলি বিস্ময়কর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখিত বিষয়ে একটি নৈতিক মানদণ্ড তৈরি করতে মন্ত্রী ইউনেস্কোকে আহ্বান জানান।