ঝালকাঠির নলছিটিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও দাখিল পরীক্ষায় কতিপয় অসাধু শিক্ষকের সহায়তায় ব্যাপক নকলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহ ও প্রশ্নপত্রের কপি মোবাইলে বাইরে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। নকল সরবরাহের জন্য কেন্দ্র সচিবদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
জানা গেছে, চলমান পরীক্ষায় নলছিটি উপজেলায় ৯টি কেন্দ্রের ১৩টি ভেন্যুতে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে নলছিটি সরকারি ডিগ্রী কলেজ, দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজ, প্রেমহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভরতকাঠি জি.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হদুয়া বৈশাখিয়া ফাজিল মাদরাসা, সরকারি নলছিটি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বি.জি ইউনিয়ন একাডেমী কেন্দ্রের ইলেন ভুট্টো বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেন্যুতে পরীক্ষার শুরু থেকেই শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবদের সহযোগিতায় প্রতিটি কক্ষে নকলের সরবরাহ চলছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান করা কয়েকজন অভিভাবক দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা শুরুর পর কতিপয় অসাধু শিক্ষক কক্ষের ভেতরে নকল সরবরাহ করেছে। এ সময় বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির ভেতরে ভবনের পেছনে নকল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন যুবককে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
নলছিটি বালিকা বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে স্কুলের শিক্ষক ও অফিস সহকারীরা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষক পরীক্ষা শুরুর পর মুঠোফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা বাইরে নিয়ে যান। পরে সংশিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকেরা সঠিক উত্তর লিখে তা পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, নকলের বিষয়টি কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এরশাদ সরকারের আমলে নলছিটি নকলের স্বর্গরাজ্য ছিলো। দূর-দূরান্তর থেকে এখানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে আসতো।