সিলেটের জৈন্তাপুরে মক্তবের এক শিক্ষকের গরম চায়ে ঝলসে গেছে ৭ বছরের শিশু শিক্ষার্থীর শরীর। তিন দিন পর ওই শিশুর মা শুক্রবার বিকালে জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন। মঙ্গলবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু তিনপাড়া পশ্চিম মহল্লা জামে মসজিদের মক্তবে যায় গ্রামের এখলাছ উদ্দিনের সাত বছরের শিশু শাহরিয়ার নাফিজ নাবিল।
পাঠদান চলাকালে নাফিজকে এক সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলতে দেখে রেগে যান মক্তবের শিক্ষক আবদুল করিম। তিনি হাতে থাকা ফ্লাস্কের গরম চা নাফিজের শরীরে ঢেলে দেন। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। এ ঘটনার পর মসজিদের অন্য ছাত্ররা শিশুটিকে বাড়িতে দিয়ে আসে। আবদুল করিম স্থানীয় হেমু দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক।
চাকরির সুবাদে শিশুটির বাবা এখলাছ মিয়া হবিগঞ্জে সিরামিক ফ্যাক্টরিতে থাকায় তার স্ত্রীকে বিষয়টি কাউকে না জানাতে চাপ প্রয়োগ করা হয়। শিশুটিকে স্থানীয় ফার্মেসিতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা বুধবার রাতে বাড়িতে ফেরেন। বিষয়টি গ্রামের মুরব্বিদের জানালে তাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়া হয়। পরে ফতেপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল কাহির পছা মিয়ার পরামর্শে শুক্রবার বিকালে শিশুটির মা সাদিয়া বেগম বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন। জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি মহসিন আলী জানান, আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।