লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমিটি ভাড়া নিয়ে ওই শিক্ষক এখন নিজের বলে দাবি করছেন বলে অভিযোগ জমির মালিক মাহবুব হাছানের। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. মাইনউদ্দিন হিরন উপজেলার হাজিরহাট সরকারি মিল্লাত একাডেমির সহকারী শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরজগবন্ধু এলাকার বাসিন্দা মাইনউদ্দিন হিরন নদীভাঙনের শিকার হয়ে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুনে মাহবুব হাছানের কাছ থেকে পাঁচ শতক জমি ভাড়া নেন। মাসিক তিন হাজার টাকা ভাড়া হারে ১০ বছরের জন্য দু’পক্ষের মধ্যে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিও হয়। পরবর্তী সময়ে ওই শিক্ষক জমিটিতে টিনসেড ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করে এর পর থেকে তিনি আর ভাড়া দিচ্ছেন না। উল্টো জমিটি তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে মিথ্যে নাটক সাজানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিথ্যে অভিযোগ এনে গত জানুয়ারি মাসে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য কমলনগর থানাকে নির্দেশ দেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কমলনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম ওই শিক্ষকের দাবি ভুয়া বলে ইতোমধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
ভুক্তভোগী মাহবুব হাছান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নদীভাঙনের শিকার হওয়ায় সরল বিশ্বাসে ওই শিক্ষককে চরজাঙ্গালীয় মৌজার পিএস ১৩৩ নম্বর খতিয়ানের ৩০৫৯ দাগে অতি মূল্যবান পাঁচ শতক জমি আমি ভাড়া দেই। কিন্তু সেই শিক্ষক প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জমিটি এখন আমার কাছ থেকে ক্রয় করেছেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
তবে অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক মাইনউদ্দিন হিরন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রতি শতক এক লাখ টাকা করে পাঁচ লাখ টাকায় ওই জমিটি মাহবুব হাছান তার কাছে বিক্রি করেছেন। নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করে জমিটিতে তিনি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। কিন্তু এখন মাহবুব হাছান তার কাছে জমি বিক্রি করেননি বলে দাবি করছেন।
স্থানীয় হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঈদুল আযহার পর দু’পক্ষকে ডেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করা হবে।