আমতলী উপজেলার কুকুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেনের এসএসসি পরীক্ষায় দুটি সনদ ও দুই ধরনের জন্ম তারিখ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সনদ ও জন্ম তারিখ গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চাকরি করে আসছেন।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম কুকুয়া গ্রামের মো. আজিজ মৃধার ছেলে ইকবাল হোসেন ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কুকুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ওই সনদে তার জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৫। ওই সনদ দিয়ে তিনি ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এরপর তিনি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৫৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
ওই সনদে তার জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১ জানুয়ারি ১৯৯০। একই পরীক্ষায় দুই ধরনের জন্ম তারিখ রয়েছে। এরপর তিনি ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসির সনদ গোপন করে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের উত্তীর্ণ এসএসসি পরীক্ষার সনদ দিয়ে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে চাওড়া কারিগরি ও কৃষি কলেজ ভর্তি হন। ওই কলেজ থেকে তিনি কৃষি ডিপ্লোমায় উত্তীর্ণ হয়। প্রতারণা করে এসএসসি পরীক্ষার সনদ ও জন্ম তারিখ গোপন করে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর কুকুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে চাকরি নেন।
শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন দুই জন্ম তারিখের কথা স্বীকার করে বলেন, জন্ম তারিখের ভুল সংশোধনের জন্য বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে। তবে এসএসসি পাসের দুটি সনদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।