টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক ওবাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ময়মনসিংহ আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
এ ছাড়া তার বিচার দাবিতে স্কুল ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেছেন তারা। তবে ওবাইদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইংরেজি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ও পাস করিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ছাত্রদের সমকামিতা ও ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন করতেন শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম। দু-তিন দিন আগে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিদ্যালয় ঘেরাও করে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহমদ আল ফরিদ দ্রুত শাস্তির আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, ওবাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করেছেন তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সিদ্দিকা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা জানান, জগদীশপুরে কাজী ফারুক আহাম্মেদ ১০ শতক জমি কিনে বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে একই গ্রামের বাবুল মিয়া ও রানা মিয়া বাধা দিয়ে সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি চলাচলে বাধা দেন।
জগদীশপুর ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার এসআই লিটন ঘোষ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষকে ডেকে আলোচনার ভিত্তিতে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।