বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার বানাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় কিস্তির সংরক্ষিত বই এর মজুদ থেকে নিজ নিজ স্কুলের পক্ষে প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়। অন্য শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বই বিতরণ করছিলেন রেজাউল করিম। আমজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম সেখানে নিজে না গিয়ে বই নেওয়ার জন্য তার পিয়নকে পাঠান। কিন্তু চালান কপি না থাকায় পিয়নকে বই না দিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়। পিয়নের থেকে এ খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে এসে বই বিতরণের কাজে বাধা দেন। সেই সাথে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে মারপিট করেন এবং তার কাছ থেকে বই বিতরণের যাবতীয় কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি তাকে মারধর করিনি। তবে তার হাত টেনে ধরে ছিলাম। তিনি একজন সৎ মানুষ। তার সাথে অশোভন আচরণের জন্য আমি অনুতপ্ত।