নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শিক্ষকের বেদম পিটুনিতে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে ছাত্রটিকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস রহমানকে আটক করেছে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশ।
আহত শিক্ষার্থীর নাম মোয়াজ্জেম হোসেন। সে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তর পাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে। অভিযুক্ত শিক্ষক মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।
আহত শিক্ষার্থীর মা মনোয়ারা বেগম জানান, তাঁর ছেলে মোয়াজ্জেম স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় একটি রুমে আটকা পড়ে। এ সময় সে দরজা ধাক্কা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দরজার ধাক্কার শব্দে শিক্ষক ফেরদৌস তাঁর ছেলেকে কানের ওপর থাপ্পড় মারেন। এতে মোয়াজ্জেম মাটিতে পড়ে গেলে তাকে অফিসকক্ষে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি বেত্রাঘাত করেন ওই শিক্ষক। এ সময় অন্য শিক্ষকরা সেখানে বসা থাকলেও তাকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে যাননি। একপর্যায়ে ছেলেটির অবস্থা দেখে এক শিক্ষক এভাবে পেটানোর কারণ জানতে চান। তখন শিক্ষক পেটানো বন্ধ করেন। পরে আহত শিশুটিকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিশোরের মা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস রহমান বলেন, ছেলেটি অনেকটা উচ্ছৃঙ্খল ধরনের। সে স্কুলে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর কারণে তাকে শাসন করা হয়েছে। তবে বেত্রাঘাত নিষেধ থাকার পরও সেটা করা তার মোটেও ঠিক হয়নি বলে তিনি মনে করেন। এ জন্য তিনি কিশোরের পরিবারের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। এ কারণে তিনি নিজেও অনুতপ্ত।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ ন ম আফাজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ না মানলে তাঁর আর কী করার আছে।